সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী জুলু কর্তৃক সদর উপজেলার কাথন্ডা উত্তর মাঠে আরো একটি গভীর নলকূপ বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ নাজমুন্নাহার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কাথন্ডা গ্রামের উত্তর মাঠে আমার স্বামীর দুইটা গভীর নলকূপ ছিল। স্বামীর মৃত্যুর আগে একটি গভীর নলকূপ আমার দুই মেয়ের নামে এবং অপরটি দেবর ও ভাসুরের নামে দিয়ে যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর ওই নলকূপের পানি পার্শ্ববর্তী বিলে সরবরাহ করে তা দিয়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কোন রকমে দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে কাথন্ডা গ্রামের মৃত আফসার আলী দফাদারের ছেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী ওরফে জুলু ও তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে একই বিলে জোর করে আরো একটি গভীর নলকূপ বসাচ্ছেন।
নাজমুন্নাহার আরো বলেন, সরকারি নীতিমালায় আছে যে, সেচ কমিটির অনুমোদন ছাড়া এবং যেখানে একটি গভীর নলকূপ রয়েছে তার ৮শ’ মিটারের মধ্যে আরা দ্বিতীয় কোন গভীর নলকূপ বসানো যাবে না। সরকারি এই নীতিমালা উপেক্ষা করে ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী জুলু আমাদের গভীর নলকূপ থেকে আনুমানিক ১৫০ মিটারের মধ্যে আরেকটি গভীর নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করে। এসময় আমি দ্রুত সেচ কমিটির সভাপতি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাতক্ষীরা বিএডিসি সহকারি প্রকৌশলী বরাবার লিখিত অভিযোগ করে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাই। আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৭ জুলাই সকাল ১০ টার দিকে বিএডিসির একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে তদন্তে ঘটনাস্থলে এসে আমার অভিযোগের সত্যতা পান। এসময় তাঁরা কাথন্ডা গ্রামের উত্তর মাঠে নতুন করে নলকূপ স্থাপন ব›দ্ধ রাখার জন্য জুলুকে বলে ওই এলাকায় লাল ফ্লাগ স্থাপন করে চলে যান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, লাল ফ্লাগ স্থাপন করে সরকারি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পরপরই জুলফিকার আলী ওরফে জুলু ও তার লোকজন লাল প্লাগটি তুলে ফেলে দিয়ে আবারও কাজ শুরু করে। একই সাথে জুলফিকার আলী জুলু ও তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়ির চারপাশে গিয়ে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। ফলে জুলু গংদের ভয়ে বর্তমানে দুই মেয়েসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোন মুহুর্ত্বে জুলু গংরা আমাদের যানমালের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।
তিনি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী জুলু কর্তৃক কাথন্ডা গ্রামের উত্তর মাঠে আরেকটি গভীর নলকূপ বসানো বন্ধ করেত প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে মোছাঃ নাজমুন্নাহার এর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
৮.৭.২০২০