ক্রাইমর্বাতা রিপোট: সাতক্ষীরা: জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ঈদের পর আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। প্রতি দিন নতুন নতুন এলাকাতে আক্রান্ত দেখা দিচ্ছে। আক্রন্ত এলাকা থেকে ঈদের ছুটি কাটাতে হাজারো মানুষ। এছাড়া ।ঈদের নামাজ ও কুরবাণিতে সামাজিক দূরাত্ব মানার প্রবর্ণতা কম থাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে।
গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে এক সাংবাদিক, তিন র্যাব সদস্য ও পাঁচ স্বাস্থ্য কর্মী ও দুই পুলিশ সদস্যসহ ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত ৭১৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে উক্ত ৩৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৩ হাজার ৯৯২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৭১৮ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকী সব নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া ৩৯১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
এদিকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে আজ ৩১ জুলাই, ঘোষিত করোনার টেস্টের ফলাফলে মোট ২৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৩ জনের করোনা পজিটিভ এবং ২২২ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে। পরীক্ষণ দলের সদস্য ও অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এর মধ্যে যশোরের ১২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯ জনের, মাগুরার ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের, সাতক্ষীরার ৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের ও বাগেরহাটের ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা এবং বন্যাকে ঘিরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর এবং সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সে সময় মন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জনগণকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা টেস্ট কমিয়ে দিয়েছি এমনটি নয়। আসলে লোকজন টেস্ট কম করাতে আসছেন। এছাড়া অনেক এলাকায় বন্যার কারণে লোক ল্যাবে যেতে পারছেন না। সে জন্যও টেস্ট করানো সম্ভব হচ্ছে না। টেস্ট কিটের কোনো সংকট নেই।
“অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ প্রকাশের সাথে সাথে বাসা থেকে অনেকেই টেলিমেডিসিন সেবা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন বলেও পরীক্ষার হার কমে গেছে।”
সার্বিক আক্রান্তের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে দাবি করে জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমেছে।
তিনি বলেন, আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত প্রায় আড়াই হাজারে একজন মারা গেছে, ইউরোপের দেশগুলোতে প্রায় দেড় হাজারে একজন মারা গেছে। সে তুলনায় বাংলাদেশ ৫৫ হাজারে একজন মারা গেছে। আমি মনে কার এটি আমাদের দেশের জন্য একটি স্বস্তির খবর