ঢাকা ওয়াসা অভিযোগের স্তূপ:আবেদন করারই যোগ্যতা ছিল না তবুও তিনি ১১ বছর এমডি

ক্রাইমবার্তা রিপোট : আবেদন করারই যোগ্যতা ছিল না। তার পরও আবেদন করার সুযোগ পান তিনি। নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরও পান। এরপর হলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। বহুল আলোচিত-সমালোচিত এই এমডি হলেন তাকসিম এ খান। ২০০৯ সালে এই পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ১১ বছর ধরে দুর্নীতির পতাকা বয়ে চলেছেন তিনি। এ সময় ঢাকা ওয়াসাকে সচল করতে বিভিন্ন সময়ে তিনি ২৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছেন। কিন্তু ওয়াসা ঘুরে দাঁড়ায়নি। নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, দুর্নীতির কারণে ‘ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা’ প্রকল্প কার্যত ব্যর্থ হয়েছে।
পাশাপাশি শরবতকাণ্ড, ১৩ বার পানির দাম বাড়ানো, চতুরতার আশ্রয় নিয়ে বারবার এমডি পদে মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়া, পদ না থাকলেও লোক নিয়োগ- এসব কারণে ঘুরেফিরে আলোচনায় থেকেছেন তাকসিম এ খান। ১১ বছর ধরে ওয়াসার প্রধান কার্যনির্বাহীর দায়িত্বে থাকার পরও রাজধানীর জলাবদ্ধতা দূর হয়নি। দুর্গন্ধমুক্ত হয়নি পাইপলাইনে সরবরাহ করা ওয়াসার পানি। ওয়াসা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াসার অনেক বিষয়েই অসংগতি আছে। তিনি (বর্তমান এমডি) কীভাবে বারবার নিয়োগ পেয়েছেন, তা বলা মুশকিল। এগুলো আমার দায়িত্ব নেওয়ার আগে ঘটেছে। তবে ওয়াসার বেশ কয়েকটি প্রকল্প ও খাল পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। এ বিষয়ে ওয়াসাকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ওয়াসায় দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা দূর করতেই হবে।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্যার প্যাট্রিক গেডেস ঢাকা শহরের পরিকল্পনায় জলাশয়, খালবিল-নদীনালার গুরুত্বের কথা বলেছিলেন। কিন্তু ওয়াসার উদাসীনতার কারণে আজ ঢাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে। ‘
ব্যর্থ হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প :ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের মাত্রা কমাতে সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া হয় পদ্মা-জশলদিয়া প্রকল্প। যার আওতায় পদ্মা থেকে পানি এনে রাজধানীতে সরবরাহ করে পানির চাহিদা পূরণ করার কথা। কিন্তু মাওয়ার জশলদিয়া পয়েন্টে ৮২ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স চায়না সিএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে দরকষাকষি না করায় শুরুতেই ওয়াসার ৩৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। ওয়াসার শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে অভিযোগ আছে যে তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন।
পরে ৩৩ কিলোমিটার পাইপলাইনের জন্য চীন থেকে এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পাইপ আমদানি করা হয়। এ পাইপের ব্যাস ২১ মিলিমিটার হওয়ার কথা থাকলেও ছিল ১৫ দশমিক পাঁচ মিলিমিটার। পুরুত্বও দেওয়া হয় কম- ২২ মিলিমিটারের (কে-১০) পরিবর্তে ১৯ মিলিমিটার (কে-৯)। অভিযোগ, কম দামে কম ব্যাসের পাইপ এনে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। ফলে একাধিকবার পাইপ ফেটে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এভাবে জোড়াতালি দেওয়ায় দৈনিক পানি মিলছে ৪৫ কোটি লিটারের পরিবর্তে মাত্র ১৫ কোটি লিটার। এসব ঘটনায় দুদকে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন ওয়াসার এমডি ও প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা।
পানির খনিতে পানি নেই :২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেন- ‘ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের জন্য সাভারের ভাকুর্তায় একটি পানির খনি পাওয়া গেছে। হিমালয় থেকে একটি চ্যানেল হয়ে ভাকুর্তায় এসে এ পানি জমা হচ্ছে। গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেই খনি থেকে প্রতিদিন ১৫ কোটি লিটার পানি তোলা হবে। তবে এতে সেখানে শূন্যতা সৃষ্টি হবে না। হিমালয়ের পানি চ্যানেল দিয়ে এসে শূন্যস্থান ভরাট করবে।’ এ জন্য ঢাকা ওয়াসা ৫৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাকুর্তায় ৪৬টি গভীর নলকূপ স্থাপনের প্রকল্প নেয়। কিন্তু ১৫টি নলকূপ চালুর পরই আশপাশের টিউবওয়েলে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে যায়। এতে অন্য ৩১টি নলকূপ চালুই করা যায়নি। সেগুলো পড়ে আছে ফাঁকা মাঠে। তবে প্রকল্পের সব অর্থই ব্যয় হয়ে গেছে।
প্রতিবছরই বাড়ছে পানির দাম :গত ১১ বছরে ঢাকা ওয়াসা পানির দাম বাড়িয়েছে ১৩ বার। এই এমডির সময় ২০১৩ সালে ওয়াসা বোর্ডকে প্রতি বছর ৫ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়ানোর ক্ষমতা দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। যদিও মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন করেনি। তবে ৫ শতাংশ হারে গত ১২ বছরে পানির দাম কেবল ৬০ শতাংশ নয়, বলতে গেলে প্রায় শতভাগ বেড়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ওয়াসা এক ধাপে পানির দাম দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরে গত এপ্রিল থেকে আবাসিক গ্রাহকের পানির দাম ১১ টাকা ৫৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা ও বাণিজ্যিক গ্রাহকের পানির দাম ৩৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করে ওয়াসা বিল আদায় শুরু করেছে।
দুই পরিচালকের পেছনে ব্যয় কোটি টাকা :ঢাকা ওয়াসার জনবল কাঠামোয় (অর্গানোগ্রাম) এমডির উপদেষ্টা বা পরিচালক বলে কোনো পদ নেই। প্রয়োজনে নিয়োগ দেওয়ারও কোনো বিধান নেই। অথচ এ নিয়ম না মেনে নিয়োগ দেওয়া তিনজনের মধ্যে বর্তমানে ঢাকায় থাকা দুই ব্যক্তির পেছনেই ঢাকা ওয়াসার বছরে খরচ হয় এক কোটি টাকা। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় আপত্তি তুললেও ওয়াসা বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালকের পদ অনুমোদন করানো হয়। ওয়াসার সাবেক দুই প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম ও একেএ শহিদ উদ্দিনকে পরিচালক পদে বসানো হয়।
কর্তৃপক্ষের অপছন্দ হলেই ওএসডি-বরখাস্ত :২০১২ সালে ঢাকা ওয়াসা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে নির্বাচন করেন সংস্থার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রবিউল কায়জার। এ পদে এমডির পছন্দের প্রার্থী ছিলেন বিএনপি-জামায়াত ঘরানার প্রকৌশলী হিসেবে পরিচিত তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও বর্তমান পরিচালক আবুল কাশেম। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন রবিউল কায়জার। এর কিছুদিন পরই তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। আদালত বারবার রবিউল কায়জারকে চাকরিতে বহালের নির্দেশনা দিলেও ওয়াসা তা বাস্তবায়ন করেনি। তার অবসরের সময় চলে এলে আদালত এক মাসের মধ্যে সব দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু সেটিও ওয়াসা বাস্তবায়ন করেনি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ওয়াসায় গত ১১ বছরে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অনুসারীরাই মূলত বরখাস্ত-ওএসডির প্রধান শিকার। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম কুমার ঘোষকে বিনা কারণে বরখাস্ত করা হয়। অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামানের ছেলে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আজিমুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের নেতা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মোজাম্মেল হককেও ওএসডি করে রাখা হয়েছে। একইভাবে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আরিফ, উপসচিব আলমগীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সহকারী সচিব নুরুজ্জামান মিয়াজী, অফিস তত্ত্বাবধায়ক এমএম ইকরাম, পিএলআই রফিকুল ইসলাম, এলডিএ কাম ক্যাশিয়ার শাহাবুদ্দীন ও পিএ কাম কম্পিউটার অপারেটর ইউসুফ আলীকে বছরের পর বছর ওএসডি করে রাখা হয়েছে। পাইপলাইন ইন্সপেক্টর ও ওয়াসা শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন সরকার, অফিস সহযোগী ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক লীগের নেতা আনোয়ার হোসেন খান লাবুকেও হাস্যকর অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়। আদালতের নির্দেশনা মেনে ১৬০ দিনের মধ্যে উত্থাপিত অভিযোগের নিষ্পত্তিও করেনি ওয়াসা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অতীতে বিএনপি-জামায়াতপন্থিদের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারাই ওয়াসাতে ভালো আছেন। প্রয়াত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার সুপারিশে সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারে মাস্টাররোলে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি পাওয়া এনায়েত আব্দুল্লাহকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব (সহকারী সচিব প্রশাসন-১, কো-অর্ডিনেশন অফিসার ও সহকারী সচিব বোর্ড) দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি চারজনকে ডিঙিয়ে (সুপারসিড) সহকারী সচিব সিরাজ উদ্দিনকে উপসচিব করা হয়েছে। সাবেক শিবির নেতা সহকারী হিসাবরক্ষক রফিকুল ইসলামকে ১৬ জনকে ডিঙিয়ে সহকারী সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে কমিশন নেওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিনকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হলেও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাইদুল ইসলামের কিছু হয়নি। সাইদুল ইসলাম জামায়াতের কর্মী হিসেবে পরিচিত আর রুহুল আমিন বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
তাকসিম এ খানের বক্তব্য :এসব প্রসঙ্গে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান বলেন, গত ১১ বছরে ওয়াসায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ওয়াসা এখন রোল মডেল। মানুষ এখন বাসায় বসে ওয়াসার বিল দিতে পারেন। অনলাইনে অভিযোগ জানাতে পারেন। ১০ বছরে ঢাকা ওয়াসা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সেবা পাচ্ছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অনেক ভালো। জশলদিয়া প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, ঢাকায় এই পানি সরবরাহের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্কের পর্যাপ্ত ধারণক্ষমতা না থাকায় সর্বোচ্চ ক্ষমতায় উৎপাদন করা যাচ্ছে না। এ জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাচ্ছে।
পানির মূল্য বাড়ানো প্রসঙ্গে ওয়াসার এমডি বলেন, ইতোমধ্যে বিদ্যুতের দাম অনেকবার বেড়েছে। ১০ বছর আগে যে দামে পানি শোধনের মালপত্র পাওয়া যেত, এখন কি সেই দর আছে? ডলারের মূল্য, আমদানি শুল্ক্ক, কাস্টমস ডিউটি, ভ্যাট এসব কি এক আছে? মুদ্রাস্ম্ফীতির নিরিখে পানির দাম বাড়েনি। ভাকুর্তা প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি সমীক্ষাভিত্তিক প্রকল্প। তারপরও দৈনিক ৮-১০ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অনুসারীদের বরখাস্ত-ওএসডি সম্পর্কে এমডি বলেন, “এটি সর্বৈব অসত্য। বলতে পারেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা দুর্নীতির বিষয়ে ‘শূন্য সহিষুষ্ণতা’ নীতি নিয়ে চলছে। সরকারের মূলনীতিই হচ্ছে দুর্নীতিবাজ যে দল বা মতেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। যখন যে ধরা পড়ছে, তার শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে। কোনো দল বা মতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি।” তার বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘এসব সঠিক নয়। এটা অসাধু কুচক্রী মহলের গুজব। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করেছে এবং কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি।’https://samakal.com/

Please follow and like us:

Check Also

২৮শে এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারেও ক্লাসের পরিকল্পনা

আগামী ২৮শে এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।