মোঃ রুহুল আমিন (চৌগাছা)যশোর,প্রতিনিধিঃ
যশোরের চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের এড়োলের বিলে শতশত বিঘা ধানি জমি অপরিকল্পিত বাঁধের কারনে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। বিষয়টি সরেজমিনে দেখে দ্রুততার সাথে সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশনা না মানায় ২৪ আগষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্বারকলিপি জমা দিয়েছেন এলাকাবাসি।
১৩ জুলাই এলাকাবাসি বিয়টির দ্রুত সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এনামুল হকের কাছে একটি স্বারকলিপি দেন। স্বারকলিপিতে কৃষকরা বলেন, এড়োলের বিলে কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি সরকারি খাল রয়েছে। এ খালের পানি যশোরের আরবপুর হয়ে বুকভরা বাওড়ে গিয়ে পড়ে।
এলাকার আব্দুল তুহিন বিশ্বাস, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল মান্নান, মিজানুর রহমানসহ এলাকার প্রভাবশালি কয়েকজন ব্যাক্তি পানি প্রবাহের খাল বন্ধ করে মাছ চাষের জন্য বাঁধ নির্মান করেছেন। খালটি বন্ধ করে দেওয়ায় জলাব্ধতার কারনে উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের গোপিনাথপুর, বড়কুলি, দশপাখিয়া, রঘুনাথপুর, মৎস্যরাঙ্গা, বুড়িয়ান্দিয়া গ্রামের কয়েকশ বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে আছে। ফলে এসব জমিতে আমন ধানের চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এবিষয়টি নিয়ে পার্শ্ববর্তী কয়েক গ্রামের কৃষকরা চরম হতশায় ভূগছেন।
স্বারকলিপি পেয়ে ২৩ জুলাই নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভেড়ির মালিক ও এলাকাবাসি নিয়ে এক সম্বনয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান আবাইদুল ইসলামের উপর দায়িত্ব দেন নির্বাহী কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী কৃষক,মোজ্জাফর, আমিনুর, ইসাহকসহ এলাকাবাসি জানান, আজ পর্যন্ত বিষয়টি চেয়ারম্যান কোনো সমাধান করতেপারেনি। তারা আরো জানান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান সরেজমিনে গিয়েএক সপ্তাহের মধ্যে সরকারি খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনের যে নির্দেশনা দিয়েছেন ভেড়ির মালিকরা সেই নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করেনি। এলাকার শত শত বিঘা জমির ধান বাঁচাতে খুব সিগরিই বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্বারক লিপি জমা দিয়েছি।
ইউপি চেয়ারম্যান অবাইদুল ইসলাম সবুজ বলেন, আমি স্বরেজমিনে গিয়ে ভেড়ির মালিকদের সাথে কথা বলে এসেছিলাম। তারা নিজেরায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবেন বলেছিল। কৃষকদের বলেছিলাম সমাধান না হলে আমাকে জানাতে। তারা আর কিছু জানায়নি। যে কারনে আমি মনে করেছি বিষয়টি সমাধান হয়েগিয়েছ।
উপজেলা ভূমি অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, এবিষয়ে ইউনও মহোদয় যে নির্দেশনা দিয়েছিল ভেড়ির মালিকরা সে অনুযায়ি কাজ করেনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এনামুল হক জানান, বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে সমাধানের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলাম। আমার জানামতে বিষয়টি সমাধান হয়ে গিয়েছে।