পানিবন্দি উপকূলের কোটি মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে

আবু সাইদ বিশ্বাস, উপকূলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরা থেকে : প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন ও ভঙ্গুর বেড়িবাঁধের কারণে বসবাস অনুপযোগী হচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চল। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান আমলে নির্মিত উপকূল রক্ষার বাঁধগুলো শতভাগ নিরাপত্তা দিতে না পারায় উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এলাকার ৮ হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। আকাশে মেঘ ডাকলেই মানুষ আঁতকে ওঠেন। পানি একটু বাড়লেই ঘুম বন্ধ হয়ে যায় তাদের। ঘূর্ণিঝড় আইলার ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও বাঁধগুলো পুনর্নির্মাণ, সংস্কার বা উঁচু করা হয়নি। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে এসব উপকূলের কোটি বাসিন্দা।

জানা গেছে, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় বাঁধগুলোর নকশা ১৯৬০ থেকে ১৯৬৫ সালের। সমতল থেকে বাঁধগুলোর উচ্চতা ১০ ফুট। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সময় ১২ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ছিল। এছাড়া গত ২১ আগস্ট শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে টানা বৃষ্টি এবং নদনদীতে অতি জোয়ারের পানির চাপে নদীতে ১৪ থেকে ১৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ছিল। ফলে বাঁধগুলো শতভাগ পানি আটকাতে পারেনি। এতে শুধু সাতক্ষীরায় এক লাখ মানুষের বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। একই অবস্থা উপকূলীয় জেলাসমূহে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, উপকূলের মানুষের দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ। ২০০৯ সালে আইলার পর ১১ বছরেও তা নির্মিত হয়নি। উপরন্তু জোড়াতালি দিয়ে বাঁধ সংস্কারে অর্থের অপচয় হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় ২০০ বছর ধরে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মানুষ চরমভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রের অভাবে এসব দুর্যোগে গত ৫০ বছরে ৯টি ঘূর্ণিঝড়ে ৪ লাখ ৭৫ হাজার প্রাণহানি হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ৮ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার জনগণ অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে জীবনযাপন করছে বলে এক গবেষণা থেকে জানা গেছে।

গত শতকে অর্থাৎ ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ৪০টি প্রাকৃৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে এসব অঞ্চলে। ১৯৭০-পরবর্তী সময়ে এসব এলাকায় ১১টির বেশি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে, যা এ অঞ্চলের মানুষের জীবন, সম্পদ, আশ্রয়স্থল, গবাদিপশু এবং উপকূলীয় অবকাঠামোকে ধ্বংস করেছে। ২০০৭ সালে সংঘটিত সাইক্লোন ‘সিডর’ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে। এর ফলে জান ও মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর সর্বশেষ চলতি বছরের ২০ মে সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় জেলাসমূহের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বেড়িবাঁধের ব্যাপব ক্ষতি করে।

গবেষণা সূত্র জানায়, গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে ১৯৭০ সালের প্রাকৃৃতিক দুর্যোগে, ৩ লাখ। এর আগে ১৯৬৫ সালে ঘণ্টায় ১৬১ কিলোমিটার গতিতে আসা ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ হাজার ২৭৯ জনের প্রাণহানি হয়। একই বছর ডিসেম্বরে ২১৭ কিলোমিটার গতিতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ৮৭৩ জনের প্রাণহানি হয়। ১৯৬৬ সালের অক্টোবরের প্রাকৃৃতিক দুর্যোগে ৮৫০ জনের প্রাণহানি হয়। ১৯৮৫ সালের মে মাসের ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৪ কিলোমিটার। এর আঘাতে ১১ হাজার ৬৯ জনের প্রাণহানি হয়। ১৯৯১ সালের এপ্রিলে ২২৫ কিলোমিটার গতিতে আসা ঘূর্ণিঝড়ে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছিল ৬ থেকে ৭.৬ মিটার। এই দুর্যোগে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮২ জনের প্রাণহানি হয়। ১৯৯৭ সালের মে মাসে ২৩২ কিলোমিটার বেগে আসা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১৫৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০০৭ সালের নভেম্বরের সিডরে ২ হাজার ৩৬৩ জনের প্রাণহানি হয়। এই ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৩ কিলোমিটার। ২০০৯ সালের মে মাসের আইলায় ১৯০ জনের প্রাণহানি হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ২০ জনের প্রাণহানি হলেও বেড়িবাঁধসহ ফসলাদির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে দেশের উপকূলীয় এলাকা অবকাঠামোগত দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাছাড়া গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা এবং দেশের অভ্যন্তরে আরো ৫০টির বেশি নদী উপকূলীয় এলাকার মধ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। আবার মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাবে উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি, সাইক্লোন, ব্যাপক বৃষ্টিপাত, নদীর উপচেপড়া পানিপ্রবাহ বন্যার সৃষ্টি করে এবং উপকূলীয় জনপদ প্লাবিত করছে।

আম্ফানতা-বে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী, পার্শ্বেমারী, খলশেবুনিয়া ও চাঁদনীমুখা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পোড়াকাটলা, টুঙ্গিপাড়া ও হুলো, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চুনকুড়ি, কাশিমাড়ি ইউনিয়নের ঝাপালী ঘোলা ও ত্রিমোহনী আটুলিয়া, রমজাননগর ইউনিয়নের গোলাখালী, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বাইনতলা, কামালকাটি, সুভদ্রকাটি, আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খাজরা বাজার পয়েন্ট, গদাইপুর আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া, বিছট শ্রীউলা ইউনিয়নের হিজলা, মাড়িয়ালা ও কাকড়াবুনিয়া, প্রতাপনগর ইউনিয়নের ঘোলা, নাকনা, কুড়িকাউনিয়া ও চাকলা, আশাশুনি সদর ইউনিয়নের বলাবাড়িয়া দয়ারঘাট ও জেলেখালী, খুলনার কয়রা উপজেলার হরিণখোলা, ২ নাম্বার কয়রা, উত্তর বেতকাশি, রতœারঘেরি, গাজীপাড়া, দক্ষিণ জোড়সিং, আংটিহারা, মেদেরচর, গোলখালী, দশালিয়া, হামকুড়সহ বিভিন্ন স্থানে ৭৭টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।

এর আগের সিডর, আইলা, মহসেন, বুলবুল ও ফণীসহ সব ঘূর্ণিঝড়েরই কমবেশি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে এসব এলাকায়। সর্বশেষ আম্ফানেও এসব ইউনিয়নে নদীভাঙন হয়েছে বেশি। এসব এলাকার অধিকাংশ স্থান এখনো তলিয়ে আছে। আম্ফানের পর থেকে এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণের কাজে নেমেছেন। তারা রাতদিন পরিশ্রম করে বেশকিছু বাঁধ বাঁধলেও ২১ আগস্ট তা আবারও ভেঙে যায়। এছাড়া চলতি বছরে মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যেও দুটি ঈদ ও পূজা পানির মধ্যে অতিবাহিত করেছে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় সিড়র, আইলা, আম্ফানসহ বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে গিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন শ্যামনগর আসনের সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, একটি চেয়ার যত দামিই হোক, চারটি পায়ার যেকোনো একটি থেকে যদি ইঞ্চিখানেক ভেঙে যায়, তাহলে চেয়ারটিতে আর বসা যাবে না। পায়ার যে অংশটুকু ভেঙে পড়ল, সেটুকুর আয়তন চেয়ারটির সামগ্রিক কাঠামোর তুলনায় হয়তো খুবই কম। তবু পায়ার ওই অংশটুকুর গুরুত্ব এতটাই যে, সেটুকু মেরামত না করা পর্যন্ত চেয়ারটি বাতিলের খাতায় পড়ে থাকবে। এই দিক থেকে চেয়ারের সঙ্গে বেড়িবাঁধের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। টেকসই বেড়িবাঁধ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষস্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকা কঠিন।

মাওলানা আজিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর থেকে তিনিসহ তার সংগঠনের লোকজন দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা করে চলেছেন। তিনি জানান, এভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে মানুষের দুর্ভোগ কমানো যাবে না। দরকার টেকসই বেড়িবাঁধ।

সাতক্ষীরা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম রিয়াছাত আলীর ছেলে নূরুল আফসার জানান, ৬০-এর দশকে উপকূলীয় এলাকায় এই বাঁধ নির্মাণকালে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিকে আমলে নেওয়া হয়নি। এরপর থেকে সংস্কারের নামে কিছু কাজ হলেও বাঁধের আয়তনে বড় ও উঁচু করা হয়নি। ফলে প্রতিনিয়ত বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে বসতবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হচ্ছে উপকূলের হাজার হাজার মানুষ। প্রত্যেক দুর্যোগের পর কর্তৃপক্ষ বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাঁধ পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন, অনেক বাঁধ উঁচু করতে হবে। তা না হলে আম্ফানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে উপকূলীয় এলাকা। এজন্য খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে মোট তিনটি প্রকল্প প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনটি প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৬ কোটি টাকা।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মন্টু কুমার ঘোষ জানান, আম্ফানে দুর্বল হয়ে পড়া বাঁধ পুনঃনির্মাণ দরকার। এই জন্য খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে তিনটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। একটি প্রকল্পের ব্যয় ১২শ’ কোটি টাকা। অপর দুটি ৯০০ ও ৯৫৬ কোটি টাকা।

প্রাণহানি ও দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য বিশ্বব্যাংক সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণে বাংলাদেশকে ২ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিয়েছে। যার কাজ শেষ হবে ২০২১ সাল নাগাদ।

এ পর্যন্ত এসব খাতে যেসব বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তা অপ্রতুল শুধু নয়, উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও। কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এমন নজিরও রয়েছে, মেরামতের পরদিনই জোয়ারে ভেসে গেছে ওই অংশ। বাঁধ নির্মাণ ও সংরক্ষণ নয়, বরং ঠিকাদারদের মাধ্যমে প্রভাবশালী কিছু লোকের অবৈধ উপার্জনের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। উপকূলের বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার সঙ্গে জড়িত এসব স্থাপনা নির্মাণ, মেরামত কিংবা সংস্কারে দুর্নীতি ও অপব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনোরকম সহিষ্ণুতা দেখানোর অবকাশ নেই। কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থে হাজার হাজার মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে।

উপযুক্ত পরিকল্পনা, নকশা, মানসম্মত নির্মাণকাজ ও তদারকি নিশ্চিত করা গেলে কেবল বিপুল অপচয়ই রোধ করা সম্ভব হতো না, হাজার হাজার মানুষের জীবনও সুরক্ষিত থাকতো।

২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৩ জুলাই সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আসেন। তিনি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার ঘোষণা দেন। তিনি বাঁধ কেটে পাইপ ঢুকিয়ে এলাকার লোনা পানি তোলা বন্ধ করারও নির্দেশ দেন। কিন্তু দীর্ঘ ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সবক’টি পয়েন্টে এলাকার গণ্যমান্য মানুষের সমন্বয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সরকারিভাবে স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খুব শিগগির সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উপকূলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ শুরু হবে।

এদিকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও খুলনার কয়রা এলাকায় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সরেজমিন পরিদর্শনে এসে বলেন, স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ৯০০ কোটি টাকার দুটি ও এক হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। খুব শিগগির সেগুলো ছাড় করে উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজসহ প্রকল্পে সেনাবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে বলে জানান তিনি।

উপকূলের মানুষকে রক্ষায় সরকারের কাছে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ, আশাশুনির প্রতাপনগর শ্রীউলা, শ্যামনগর ও উপকূলীয় জেলাসমূহে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেখানে রান্না করা খাবার বিতরণ করা এবং ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

Check Also

গাজায় আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজা ভূখণ্ডে আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।