‘অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের বন্ধ কর, জলাবদ্ধতা জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানব বন্ধন

‘অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের বন্ধ কর, জলাবদ্ধতা নিরসন কর, বেতনা নদী পুন:খনন কর, জনমানুষকে রক্ষা কর’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে মাছখোলাবাসীর আয়োজনে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে শিবতলা মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মাগরেবের সভাপতিত্বে ও সাপ্তাহিক সূর্যের আলো পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মুনসুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, জাসদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, বাসদ সাতক্ষীরার সংগঠক এড. আজাদ হোসেন বেলাল, স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সাতক্ষীরার সাংগঠনিক সম্পাদক মকবুল হোসেন, জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ। এসময় বহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর শহিদুল ইসলাম, সাবেক মেম্বর করিম সরদার, নুরুল হক, সাইদুল, সাঈদ, মোহর আলী, সাকিব, কিসমতসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, বেতনা নদী ও পানি নিষ্কাশনের পথ দখল করে অপরিকল্পিত মাছের ঘের করার কারণে মৌসুমী বৃষ্টিপাতের ফলে মাছখোলার শিবতলা গ্রামের বিভিন্ন সড়কে, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়ির উঠানের হাঁটু পানি উঠেছে। এটি আজ নতুন ঘটনা নয়। প্রত্যেক বছর প্রায় ৫ মাস এলাকার মানুষকে পানির মধ্যে বসবাস করতে হয়। জলবদ্ধতা নিরসনের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন করে না। যার ফলে বছরের পর বছর স্থায়ী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আজ অপরিকল্পিত পরিকল্পনার জন্য জেলার কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়েছে। কয়েক বছর আগে বেতনা নদী খননের জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছিল। কিন্তু ঐ বরাদ্দকৃত টাকার ৩০% খনন কাজেও ব্যয় হয়নি। অথচ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল। আমরা স্বচ্ছতার সাথে তাদের কাজটি করতে বললেও তারা করেননি। আমরা ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে নয়, যারা কোটি টাকা আয়ের জন্য হাজার হাজার মানুষকে পানিবন্দি করে রাখছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছি। তাদের জন্য এলাকার শত শত পরিবারের নারী, শিশু ও বয়স্করা পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০ বছর পর আর এই গ্রামে কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।

 

তাই শিবতলাসহ জেলার সকলকে মানুষকে সচেতন হয়ে সরকারের বরাদ্দকৃত টাকার প্রকল্পগুলোর কাজ বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব আপনার আমার সকলের। সেজন্য সকলকে সচেতন হয়ে কাজ বুঝে নেওয়ার আহবান জানান বক্তারা।

Please follow and like us:

Check Also

২৮শে এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারেও ক্লাসের পরিকল্পনা

আগামী ২৮শে এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।