ক্রাইমবার্তা রিপোট : হাটহাজারী মাদরাসা কেন্দ্রীয় মসজিদে আজ জুমার নামাজের পূর্বে বয়ান করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এসময় তিনি বলেন, তোমরা ছাত্ররা ঠিকমতো পড়াশোনা করবে। তোমরা পড়ালেখায় মনোযোগী হও এবং আগামীকাল থেকে মাদরাসা খোলা থাকবে ও ক্লাস যথারীতি চলবে। তোমরা ক্লাসে অংশগ্রহণ করবে। তিনি আরো বলেন, আল্লামা আহমদ শফী চিকিৎসাধীন আছেন। আপনারা সবাই হুজুরের জন্য দোয়া করবেন।
এদিকে জুমার নামাজের পর মুসল্লীরা মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর মাদ্রাসার শাহী গেইটের পকেট গেইট পুনরায় তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতরাতে হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম পদ ছেড়ে দেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তার ছেলে আনাস মাদানীকেও মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতির জন্য জুনায়েদ বাবুনগরীকে দায়ী করেছেন আনাস মাদানী। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল হাটহাজারী মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করে। যদিও আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো ঘোষণা দেয়নি।
শুক্রবার বিকেলে ৪ টার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মাঠ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে স্বজনরা। এরপর তাকে পুরান ঢাকার আজগর আলী মেডিকেলে ভর্তি করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আফতাবুল ইসলাম। তিনি জানান, শফি সাহেব বেশ অসুস্থ। বিশেষ করে তাঁর বুকে ব্যাথা, উচ্চরক্তচাপ, বমি ও শ্বাসকষ্ট বেড়েছে অস্বাভাবিক। ডায়াবেটিসের মাত্রাও বেড়েছে। কোন খাওয়ার খাচ্ছেন না তিনি। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওনাকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউর) ৮ নম্বর বেডে হস্তান্তর করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাসেবার পর শারীরিক অবস্থা একটু ভালো দিকে রয়েছে।
হেফাজতের এক নেতা জানান, দারুল উলুম মুইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের হাতে লাঞ্ছিত ও ৩৬ ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমেদ শফী। এরপর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া মানসিকভাবেও ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি।