সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, সাংবাদিকতা পেশা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হয়ে উঠেছে। দেশের গণমাধ্যম তার চরিত্র হারিয়েছে। সংবাদপত্র ও টেলিভিশন মিডিয়া এখন আর গণমানুষের কথা বলতে পারছে না। বর্তমান সরকারের গুণগান গাওয়া ও দালালির মাধ্যমে কিছু সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করা গণমাধ্যমের মালিক সাংবাদিকদের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছে। যার ফলে সাংবাদিক সমাজের পেশাগত মান মর্যাদা দিন দিন শূন্যের কোঠায় নেমে যাচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার সাতক্ষীরা মিডিয়া সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়াল প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরা মিডিয়া সেন্টারের পরিচালক আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন মুহাদ্দীস রবিউল বাশার, তুর্কি সংবাদ এজেন্সি আনাদুলু’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি কামরুজ্জামান বাবলু, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার খুলনা ব্যুরো প্রধান আব্দুর রাজ্জাক রানা, সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা আবু সাইদ বিশ্বাস, প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বর্তমানে কালো টাকার মালিক পুঁজিপতিরা সংবাদপত্র ও টিভি মিডিয়ার মালিক হয়ে সরকারের দালালি করছে। একটি বিশেষ স্থান থেকে সাংবাদিকদের স্বাধীনতার মানদন্ড নির্ধারণ করা হচ্ছে। আর এই সুযোগে সরকার কৌশলে দেশকে মিডিয়াশূন্য করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। একের পর এক মিডিয়া হাউজগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হাজারে হাজারে সাংবাদিক বেকার হয়ে পড়ছে। আর সমান তালে বাড়ছে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা।
সারা দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের মচ্ছব চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চুন থেকে পান খসলেই সাংবাদিক সমাজের ওপর হামলে পড়ছে সরকারি দলের ক্যাডার বাহিনী ও প্রশাসনের পেটুয়া বাহিনী। ফলে দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা আজ সুদূরপরাহত।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, স্বাধীন গণমাধ্যমের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্বাধীন ও গণমুখী গণতন্ত্র। পরিপূর্ণ গণতন্ত্র ছাড়া কোন দেশে স্বাধীন গণমাধ্যম কল্পনা করা যায় না। যেহেতু দেশে গণতন্ত্র নেই তাই এখানে গণমাধ্যম কর্মীদের কোন স্বাধীনতা নেই।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার সরকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষ নির্বাচনে ভোট দিতে পারে না। রাতের বেলায় দলীয় ক্যাডার ও পুলিশ ক্যাডাররা ভোট বাক্স ভর্তি করে ফেলছে। ফলে দিনের বেলায় ভোটাররা ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, একাত্তরের আগে পাকিস্তান সরকার যেভাবে এদেশের মানুষের ওপর অন্যায় অত্যাচার করেছে, বর্তমানে সেই অবস্থা বিরাজ করছে। দেশে ভিন্ন মত প্রকাশের কোন অধিকার নেই।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৮ মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছে দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক আবুল আসাদ। কিন্তু গতকাল শ্রুক্রবার দুপুর পর্যন্তও তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারেননি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ক্রাইমবার্তা ডটকমের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তৈয়িবুর রহমান জাহাঙ্গীর বলেন, একটি আদর্শ ও কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, সমাজের দর্পণ। জনমত সৃষ্টিতে সাংবাদিকরা কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …