রায়ের আগ পর্যন্ত আইনজীবীর জিম্মায় থাকবেন মিন্নি

বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে আইনজীবীর জিম্মায় দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে মিন্নিকে তার মনোনীত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলামের জিম্মায় দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

এর আগে পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী মিন্নিকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য উপস্থাপিত যুক্তি খণ্ডনের দিন ধার্য থাকায় সকাল ৯টার দিকে বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের সঙ্গে আদালতে আসেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। বেলা ১১টার দিকে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিন্নির পক্ষে উপস্থাপিত যুক্তি খণ্ডন শুরু করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। যুক্তি খণ্ডন শেষে উচ্চ আদালতের দেয়া মিন্নির জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মিন্নিকে নিজের জিম্মায় জামিনে রাখতে তার পক্ষে আদালতে আবেদন করেন মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম। এরপর এ আবেদন মঞ্জুর করে আদালত রায়ের আগ পর্যন্ত মিন্নিকে আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলামের জিম্মায় দেন।। একই সঙ্গে ১০ আসামির পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে হওয়ায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
আজ এ মামলার রায়। আজ আইনজীবীর জিম্মায় আদালতে গিয়েছেন মিন্নি।

এ বিষয়ে মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ আদালতের দেয়া মিন্নির জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর মিন্নিকে আমার জিম্মায় জামিনে মুক্ত রাখার জন্য আবেদন করি। পরে আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করে রায়ের আগ পর্যন্ত মিন্নিকে আমার জিম্মায় জামিন দেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৬ জুন রিফাত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। হত্যাকাণ্ডের একদিন পর ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রিফাতের বাবা। এ মামলায় মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেন নিহত রিফাতর বাবা দুলাল শরীফ।

হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর গত বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইন্সে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

টানা ৪৯ দিন কারাভোগের পর গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলার শর্তে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বরগুনার কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন মিন্নি। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের জিম্মায় বাবার বাড়িতেই ছিলেন মিন্নি।

মিন্নির পরিবারের দাবি তিনি নির্দোষ। স্বামীকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন তিনি।

Please follow and like us:

Check Also

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে নারীর ঝাঁপ: মারা যান মা-ছেলে

হাজীগঞ্জে এক বছরের সন্তান আব্দুর রহমানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন মা তাহমিনা (২৩)। এতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।