বগুড়ার শেরপুরে অটোরিকশা চালক মিনহাজকে (২২) খুনের পর গুম করে রাখা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছিনতাই নাটক সাজাতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া খুনি ফজলে রাব্বীর দেখানো মতে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় পুলিশ উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বলেন, গ্রেফতারকৃত ফজলে রাব্বী পুলিশকে জানিয়েছে, তাদের পাশের গ্রামের বাসিন্দা মিনহাজ তাকে মাঝেমধ্যেই ব্ল্যাকমেইল করে টাকা নিতেন। এ কারণে কয়েকদিন আগে থেকেই মিনহাজকে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী গত মঙ্গলবার রাতে কৌশলে তার অটোরিকশায় ভাড়া করে ওঠেন। তারপর অটোরিকশা নিয়ে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশে পাঁচ শ’ গজ দূরে যান। সেখানে রাব্বী কোমল পানীয়ের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে মিনহাজকে পান করান। মিনহাজ অচেতন হয়ে পড়লে চাকু দিয়ে তার মুখ-মন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত বিক্ষত করেন রাব্বী। এরপর লাশ ধানক্ষেতে লুকিয়ে রেখে নিহতের অটোরিকশা ফেলে রেখে বাড়ি ফিরে যান। পরে নিজের পায়ের তালুতে নিজেই ছুরিকাঘাত করে পরদিন বুধবার বিকেলে শেরপুর থানায় হাজির হন। সেখানে নিজেকে খুনের দায় থেকে আড়াল করতে গতরাতে তার ছিনতাই হয়েছে বলে নাটক সাজান। কিন্তু তার কথায় পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাব্বী নিজে খুন করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
মিনহাজের বড় ভাই আব্দুল মমিন কান্নারত কণ্ঠে জানান, মিনহাজের ছেলেসন্তান হবে শুনে গুম হওয়ার আগের রাতে ছেলের নাম রাখে ‘আব্দুল্লাহ’। গুম হওয়ার পরদিন তার