সাতক্ষীরা ১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক এমপি, জননেতা এডভোকেট শেখ আনসার আলী জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, আসুন সবাই মুহতারমের সুস্থতার জন্য দোয়া করি……………..
এডভোকেট শেখ আনসার আলী চাচা আমাদের এমপি ছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে উনাকে সংগঠন প্রার্থি করেন এবং উনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।
উনার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থি ছিলেন আওয়ামিলীগের সৈয়দ কামাল বখত সাকী সাহেব।
উনি নির্বাচিত হওয়ার পরেই মূলত তালা – কলারোয়ায় উন্নয়নের ছোয়া লাগে। কলারোয়া এবং তালা উপজেলার বেশীরভাগ এলাকার পাকা রাস্তা এবং ব্রীজ কালভার্ট ওই সময়ই হয়েছে।
শ্রদ্ধাভাজন আনসার আলী চাচা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন এর সেক্রেটারীও ছিলেন।
১৯৯৮/৯৯/২০০০ সালের দিকে ব্রেনস্ট্রোক করার পর থেকে তিনি পর্দার আড়ালে চলে যান।
তারপর থেকে আর উনাকে আমরা জনসমক্ষে দেখিনা।
সাতক্ষীরার ইতিহাসের উজ্জ্বলতম এই নক্ষত্র আজ প্রায় বিসৃত। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তিনি পুরোপুরি অপরিচিত বলা চলে।
ভালোই মনে আছে ; ১৯৯১ সালের নির্বাচনের সময় আমি খুবই ছোট ছিলাম, তারপরও বড়দের সাথে আনসার আলী চাচার জন্য প্রতি রাতেই দাঁড়িপাল্লার মিছিলে যেতাম। উনি আমাদের বাসায় বেশ কয়েকবার এসেছেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের সময় আমি আর ইমাম হাসান ভাই কত মাইকিং করেছি…! আজো মনে আছে, চৌরাস্তা মোড়ে বিকালে নির্বাচনী সমাবেশ। আমরা যথারিতি মাইকিং করছি। তবে মাইকিং এর ফাঁকেফাঁকে নির্বাচনী গানের ক্যাসেট চালাচ্ছিলাম।
চাচা কখন যেন সেটা খেয়াল করেছেন।
দুপুরে একসাথে খাওয়ার সময় উনি আমাদের বল্লেন এতো গান বাজালে লোকজন জনসভার নিউজ জানবে কিভাবে….! জনসভার কথা, স্থান, সময়, অতিথির নাম, নির্বাচনের প্রতিক এবং প্রার্থীর নাম বেশি বেশি বলতে হবে। ইত্যাদি।
আজ আমাদের সেই মহান নেতা, আমাদের অভিভাবক জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন।
আসুন সবাই মিলে শ্রদ্ধাভাজন চাচার জন্য দোয়া করি।
আল্লাহ মুহতারম কে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন।