আবু সাইদ বিশ্বাসঃক্রাইমবাতা রিপোটঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারের ৪ জনকে জবাই করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ভোররাতে উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, খলসি গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে হ্যাচারি মালিক শাহিনুর রহমান (৪০), তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০), ছেলে সিয়াম হোসেন মাহি (৯) ও মেয়ে তাসনিম (৬)।
নিহত শাহিনুর রহমানের ছোট ভাই রায়হানুল ইসলাম জানান, বাড়িতে মা ও বড় ভাইয়ের পরিবারের ৫জনসহ তারা ৬ জন থাকতেন। মা কাল আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। তিনি (রায়হানুল) ছিলেন পাশের ঘরে। ভোরে পাশের ঘর থেকে তিনি বাচ্চাদের গোঙানির (ব্যথার আওয়াজ) শব্দ শুনতে পান। তাৎক্ষণিক এগিয়ে গিয়ে দেখেন ঘরের বাইরে থেকে আটকানো। দরজা খুলে দেখা যায় বিভৎস দৃশ্য। এর কিছুক্ষণ পর বাচ্চারাও মারা যায়। তবে একমাত্র ৪ মাসের শিশু মারিয়া অক্ষত আছে। তিনি আরও জানান, তাদের সাথে জমি জায়গা নিয়ে পাশের কিছু লোকের বিরোধ ছিল। কিন্তু কারা এ ঘটনা ঘটালো তা বুঝতে পারছি না।
কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিজেদের ঘরের মধ্যে গৃহ প্রধান শাহিনুর রহমানসহ ৪ জনকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে শাহিনুরের পা বাধা ছিল এবং তাদের চিলে কোঠার দরজা খোলা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ছাদের চিলে কোঠার দরজা দিয়ে হত্যাকারীরা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
তদন্তের সার্থে ঘটনা স্থলে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়রি। ফলে নিহতদের লাশের ছবি সঙগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারান পাল জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পুলিশকে খবর দেন। তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের পাশের এক বাড়িতে রাতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতেরা একই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যা করেছে। এ খবর পেয়ে তিনি (ওসি) কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।
ওসি হারান পাল বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনের লাশ দেখতে পায়। চারজনকেই কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বাড়ি থেকে কোনো জিনিসপত্র খোয়া যায়নি।
রায়হানুল ইসলাম বলেন, তাঁদের সঙ্গে জায়গা-জমি নিয়ে পাশের কয়েকজনের বিরোধ ছিল। কিন্তু কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
ওসি হারান পাল বলেন, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতি করার জন্য নয়, পরিকল্পিতভাবেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে কি করে