বৈশ্বিক মহামারির করোনা ভাইরাসের কারণে গত মার্চে বন্ধ করা হয় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তারই ধারাবাহিকতায় সম্মান চতুর্থ বর্ষের চলমান পরিক্ষা স্থগিত করা হয়। দীর্ঘদিন সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এইস,এস,সি পরিক্ষার্থীদের অটো প্রমোশন দিলেও সম্মান চতুর্থ বর্ষের চলাকালীন পরিক্ষার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দিচ্ছে না।যার কারণে থেমে যাচ্ছে দেশের লাখো শিক্ষার্থীর জীবন।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকল বিশ্ববিদ্যালয় (প্রাইভেট, জাতীয়, পাবলিক) খুলে দেওয়া ও পরিক্ষা নেবার দাবিতে আজ ঝিকরগাছায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেগ্যে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। যশোরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ত্রিশ জন শিক্ষার্থী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভার পরিচালক আল আমিন সভার শুরুতে বলেন, দেশের অফিস, আদালত, বাজার-ঘাট,ব্যাংক, যাতায়াত ব্যবস্থা , আমদানি-রপ্তানি সবই আগের মত চলছে। শুধু থেমে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জীবন। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি পরিক্ষা প্রতিটি বিভাগীয় শহরে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে ও সম্মান চতুর্থ বর্ষের পরিক্ষা নিতে সমস্যায় কোথায়? তাই অবিলম্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক এবং স্থগিত পরিক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
এ সময় সভার সভাপতি মাছুম পাভেল মোমিন বলেন, আমাদের দেশে সকল কিছুই যখন আগের মতো চলছে তখন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কেন এই প্রহসনের শিকার হতে হবে? তিনি এই সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তিন দফা দাবি করেন।
১,সর্বোচ্চ স্বাস্থ বিধি মেনে সকল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে এবং সম্মান চতুর্থ বর্ষের বাকি পরিক্ষা দ্রুত শেষ ও ফলাফল প্রকাশ করতে হবে ।
২,যে সকল অঞ্চলে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেশি সে সকল অঞ্চলে বিশেষ নীতিমালা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ণ করতে হবে।
৩,পরিক্ষার আগে বা ভিতরে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টারী পরিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কোন অতিরিক্ত ফিস নেওয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন,আমরা প্রয়োজনে শান্তিপূর্ণ ভাবে জেলায় জেলায় মানব বন্ধন করবো।দেশের বিভিন্ন জেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিনি নিজ জেলায় শান্তিপূর্ণ ভাবে মানব বন্ধন করার আহবান করেন। যাতে সরকার এ ব্যাপারে একটি কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়। ফলশ্রুতিতে লাখো শিক্ষার্থীর জীবন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।