বগুড়ায় দুর্গা মন্দির চত্বরে সুব্রত দাস সম্রাট (২৭) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত ১টার দিকে সদরের সাবগ্রাম হাট দুর্গা মন্দির চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। তিনি ২০১৫ সালের যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মানিক হত্যা মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত সম্রাট সাবগ্রাম পালপাড়ার কালিপদ দাসের ছেলে। তিনি সাবগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তবে বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার রাত ১টার দিকে সম্রাট মন্দিরে যান। প্রতিমা দর্শন শেষে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্দির চত্বরে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে সম্রাট মন্দির চত্বরের একটি টিনের ঘরে আশ্রয় নেন। দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
জানা গেছে, সম্রাটের নামে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি এলাকায় বালু ব্যবসা নিয়ে তার সঙ্গে প্রতিপক্ষের বিরোধ হয়। তিন মাস আগে সম্রাটের বিরুদ্ধে সাবগ্রাম এলাকায় মানববন্ধন করে তার প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন। এরপর থেকে সম্রাট এলাকা ছেড়ে বগুড়া শহরে বসবাস করতে থাকেন। সম্রাটের বড় ভাই জুয়েল দাস ওরফে হাড়ি জুয়েল পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। কিছুদিন আগে জুয়েল জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে সম্রাটের পক্ষ নিয়ে ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধর করেন। এরপর থেকে সাবগ্রাম এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। রোববার রাতে সম্রাট গোপনে বাড়ি গিয়ে তার বাবা-মার সঙ্গে দেখা করেন। বাড়িতে খাওয়া দাওয়া শেষে মন্দিরে যান প্রতিমা দর্শন করতে।
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার পর পরই এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে, কিন্তু জড়িতদের পাওয়া যায়নি। সম্রাটের নামে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্রসহ ৫টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।