নিজস্ব প্রতিনিধি: আপত্তিকর পোস্ট দিয়ে সম্মানহানি ও বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। রবিবার দিবাগত রাতে শহরের মুনজিতপুরের নিজ বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। মৃত কলেজ ছাত্রীর নাম নন্দিনী চৌধুরী (২০)। তার বাবার নাম বিকাশ চৌধুরী।
মৃতের স্বজনরা জানান, নন্দিনী চৌধুরী সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। গত ৩০ অক্টোবর যশোর জেলার কেশবপুরের হাড়িয়ারের গোফ গ্রামের হরিপদ মজুমদারের ছেলের সাথে তার বিয়ের ঠিক হয়। কয়েকদিন আগে ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি ও লেখা পোস্ট দেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে হরিপদ মজুমদার তার ছেলের সাথে নন্দিনীকে বিয়ে দিতে আপত্তি জানান। এতে নন্দিনীর মন ভেঙে যায়। এমন অবস্থায় গত রোববার তার কয়েকজন বান্ধবী বাড়িতে এসে তাকে শাসিয়ে যায়। সদর থানায় তারা কয়েকটি সাধারণ ডায়েরিও করে।
এ অপমান সইতে না পেরে রোববার রাতে খাওয়া দাওয়ার পর নিজের ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে। সোমবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসেন হবু শ্বশুর হরিপদ মজুমদার। একপর্যায়ে তার বাড়িসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।