সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ওয়াজে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে

বিবিসি বাংলা : ওয়াজ মাহফিলে লাউডস্পিকার ব্যবহারে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর এমন নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংসদের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠকের সুপারিশ বা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ওই সুপারিশে যা বলা হয়েছিলে তা হলো, দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে লাউডস্পিকার ব্যবহারে যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, তা লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তবে ধর্ম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য শওকত হাচানুর রহমান, যিনি ওই ৬ষ্ঠ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ওই বৈঠকে এ ধরনের কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এ ধরনের কোনো সার্কুলার নেই। আমরা নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় এমনিতেই ওয়াজ মাহফিলের মতো অনুষ্ঠান বেশি হয় এবং সেখানে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা হয়। আর এ কারণেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
‘লাউডস্পিকার ব্যবহারের কারণে যদি শ্রবণমাত্রার চেয়ে বেশি ডেসিবলের শব্দ তৈরি হয় এবং যদি কেউ অভিযোগ করে, তাহলে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, এটা শুধু ওয়াজ মাহফিলের ক্ষেত্রে নয়, বরং যেকোনো অনুষ্ঠান বা প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে যদি পরিবেশদূষণ হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশের ধর্মীয় সমাবেশগুলোয় প্রচুর লোকসমাগম হয়ে থাকে।
কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানজিল্লুর রহমান বলেন, কেউ যদি অভিযোগ করে, তাহলে সেখানে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় ইমামদের সাথে বৈঠক করে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান মি. রহমান।
‘যারা ওয়াজ মাহফিল করেন তাদের সাথেও আমরা কথা বলবো, তাদের মধ্যে একটা সচেতনতা সৃষ্টি হবে।’
স্থানীয় কোনো অসুস্থ রোগী কিংবা শিক্ষার্থীদের যাতে সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা চালানো হবে বলেও জানানো হয়।

Please follow and like us:

Check Also

২৮শে এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারেও ক্লাসের পরিকল্পনা

আগামী ২৮শে এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।