জলবায়ু অর্থায়ন: ক্ষতিপূরণের টাকায় ঋণ!

জলবায়ুজনিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। ঝুঁকি কমাতে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না কোনোটির। জলবায়ু তহবিলের প্রকল্পগুলোতেও চলছে অর্থের তছরুপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অদক্ষতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নানা দিক এবং এ খাতের অনিয়ম নিয়ে শাহেদ শফিকের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে অষ্টম পর্ব

শিল্পোন্নত দেশগুলোর মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সামনের সারিতে থাকলেও ক্ষতিপূরণ আদায়ে এখনও বেশ পিছিয়ে। যেসব দেশের কারণে বাংলাদেশকে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে সেই দেশগুলো ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুত অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে না। উপরন্তু বিমা এবং বন্ডভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণের বোঝায় ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু নীতিমালা, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও অদক্ষতার ফলে এ খাতে বরাদ্দ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ।

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসি)-এর আওতায় ২০১৫ সালের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি চুক্তি সই হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সাল হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর সবুজ জলবায়ু তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। শিল্পোন্নত দেশগুলোর ক্ষতিপূরণ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে এই টাকা দেওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত ওই চুক্তির দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি নেই। উপরন্তু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় পরিবেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা দেশ হিসেবে স্বীকৃত যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তহবিল নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবছর এ তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার করে অর্থায়নের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে। অথচ প্রকল্প জমা পড়েছে ২০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের। আর ২০১৫ থেকে এখন পর্যন্ত প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এ থেকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশসহ ১০টি দেশকে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) মাত্র ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে অনুমোদিত সর্বমোট তহবিলের মাত্র ০.০৭ শতাংশ। অথচ ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন অনুসারে শুধু বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন বাবদ বছরে দরকার ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।

জলবায়ু অর্থায়নে উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য যে তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে তা বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে বণ্টন করা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বব্যাংক এ টাকা অনুদান হিসেবে না দিয়ে ঋণ হিসেবে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরই মধ্যে বহুজাতিক সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোও অনুদানের পরিবর্তে ঋণ দেওয়া শুরু করেছে, যা বাংলাদেশের অনুদান চাওয়ার নৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল করে ফেলছে।

২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বাংলাদেশ সফরে এসে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলায় আগামী তিন বছরে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক, পূর্বাভাস সক্ষমতা ও সতর্কতা প্রদান ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন এবং শক্তিশালী করতে ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের ঋণ চুক্তি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ আঞ্চলিক আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবা প্রকল্পের মাধ্যমে এ টাকা খরচ করা হচ্ছে। তবে ক্ষতিপূরণের পরিবর্তে ঋণ দেওয়াকে অনৈতিক উল্লেখ করে পরিবেশবাদী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা এ ঋণ না নেওয়ার জন্য আহ্বান জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে তা মানা হয়নি।

জানা যায়, আঞ্চলিক প্রকল্প হিসেবে ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলার ঋণের মধ্যে ৮ কোটি ২০ লাখ ডলার জাতীয় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা (আইডিএ) এবং বাকি ৩ কোটি ১০ লাখ ডলার হলো আঞ্চলিক আইডিএ। এই ঋণের টাকা ৬ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধযোগ্য। ছাড়কৃত অর্থের ওপর বছরে দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে অনুদান প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিশ্বব্যাংক বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দরিদ্র ও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে থাকাকে ঋণ ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘যদি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদানে বিশ্বব্যাংকের প্রকৃত অভিপ্রায় থাকে, তাহলে বাংলাদেশের ওপর অধিক ঋণের ভার ও বোঝা চাপানো থেকে বিশ্বব্যাংককে বিরত থাকতে হবে। বরং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত অর্থ বাংলাদেশ যেন দ্রুত পেতে পারে, সে প্রক্রিয়ায় বিশ্বব্যাংক ইতিবাচক ভূমিকা পালনের উপায় খোঁজার প্রয়াস গ্রহণ করতে পারে।’

ক্ষতিপূরণ হিসেবে অনুদান প্রদানে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি পূরণে আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, কারিগরি এবং কূটনৈতিক দক্ষতা সমন্বিতভাবে প্রয়োগের জন্য সরকারের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর পোল্যান্ডের কাতোয়িস শহরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনে উত্থাপিত ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স-২০১৯’ অনুযায়ী চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সবচেয়ে বিপন্ন বা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বার্লিনভিত্তিক পরিবেশবিষয়ক সংগঠন জার্মানওয়াচ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু ২০১৮ সালে জলবায়ুর বৈরী প্রভাবে সংঘটিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮২ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। যা দেশের বিদ্যমান অভিযোজন এবং প্রশমন কার্যক্রমের মাধ্যমে এড়ানো সম্ভব নয়। প্রতিবছর ক্ষতির এ পরিমাণ বাড়লেও বাংলাদেশ এখনও সবুজ জলবায়ু তহবিল থেকে উল্লেখযোগ্য কোনও প্রকল্প বা অর্থ আদায় করতে পারেনি।

জানা গেছে, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৩টি প্রকল্পের জন্য এ তহবিল থেকে মাত্র ৮৫ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন পেয়েছে। তবে ২০১৫ সালে অনুমোদিত সেই প্রকল্পের অর্থ এখন পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়নি। ফলে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন না করায় ভবিষ্যতে এর ব্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ অবস্থায় সবুজ জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ ছাড় না পেয়ে বাংলাদেশ নিজস্ব তহবিল থেকে এ খাতের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রেখে যাচ্ছে। এ জন্য গঠন করা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড।

২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট রাজস্ব বাজেট থেকে ৩ হাজার ২শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টিবোর্ড কর্তৃক ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত ২ হাজার ৮ শত ৮৯ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৫৬২টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫৯টি প্রকল্প শেষ হয়েছে।

টিআইবির সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, বন্যার কারণে দেশে আক্রান্ত পরিবারগুলোর গড়ে ১৭ হাজার ৮৬৩ টাকা বা ২১০ ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এই ধরনের ক্ষতি মোকাবিলার জন্য ২০১৩ সালে ওয়ারশো ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজম ফর লস অ্যান্ড ড্যামেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ওয়ারশো মেকানিজমের আওতায় এই ধরনের ক্ষতির বিপরীতে ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি প্যারিসে পুনরায় নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ধীরে ধীরে এবং আকস্মিক সংঘটিত দুর্যোগের হাত থেকে ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় ওয়ারশো মেকানিজমটি মূল ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত।

এ ছাড়া মেকানিজমটি প্যারিস চুক্তির স্বচ্ছতা কাঠামোর নীতিমালা মেনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, লবণাক্ততা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন ধ্বংস এবং জীববৈচিত্র‌্যের ক্ষতিসহ আর্থিক মূল্যে পরিমাপযোগ্য ও অপরিমাপযোগ্য ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। তবে এই মেকানিজমে জলবায়ুর কারণে ক্ষয়-ক্ষতির (লস অ্যান্ড ডেমেজ) জন্য আলাদা তহবিল গঠনে কোনও নির্দেশনা নেই।

জানা গেছে, ২০০৭ সালের কপ সম্মেলন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করলেও লস অ্যান্ড ড্যামেজ মেকানিজম স্থাপন করা ছাড়া ক্ষতিপূরণ প্রদানে আলাদা কোনও তহবিল হয়নি।

এই মেকানিজমের কার্যক্রম বাস্তবায়নে গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি শুধু প্রথম দ্বি-বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা (২০১৪) এবং চলমান পঞ্চবার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা (২০১৭) প্রণয়ন করেছে। অন্যদিকে, এই কমিটি তাদের প্রস্তাবিত কর্ম পরিকল্পনায় আলাদা কোনও তহবিল গঠনের প্রস্তাব না করে ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় বিবিধ বিমা এবং বন্ড প্রস্তাব করেছে। যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর স্বেচ্ছায় প্রদত্ত কিস্তি থেকে আদায় করা হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে মনে মনে করছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।

জানতে চাইলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দূষণকারী দেশগুলো ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার করে অর্থায়ন করার কথা থাকলেও করছে না। জলবায়ু অর্থায়নের জন্য প্রদত্ত অঙ্গীকারের বিপরীতে দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতা সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থপ্রাপ্তির জন্য নতুন ধরনের বিমা ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে নতুন ধরনের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত অর্থ প্রাপ্তিকে অনিশ্চিত করছে। এই অর্থায়ন হতে হবে উন্নয়ন সহায়তায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে।’

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও টিআইবির ক্লাইমেট ফিন্যান্স গভর্নেন্সের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম জাকির হোসেন খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জলবায়ু খাতে বিমা এবং বন্ডভিত্তিক কার্যক্রমের পরিকল্পনা মুনাফায় আগ্রহী ব্যক্তিমালিকানাধীন সংস্থার প্রসারে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করবে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের কাছ থেকে বিমার কিস্তি আদায়ের কারণে অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে। এ

জানতে চাইলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়নের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আরও ঋণের বোঝায় ফেলতে চাইছে। এ জন্য আমরা আগামী অর্থবছরে আমাদের রাজস্ব বাজেট থেকে ‘সবুজ জলবায়ুর’ জন্য আলাদা একটি তহবিল দাবি করছি। এর মাধ্যমে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা যাবে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্নগুলো লিখিত আকারে পাঠাতে বলেন। গত ১০ নভেম্বর তার কাছে প্রশ্নগুলো পাঠানো হয়। প্রশ্নগুলোর মধ্যে ছিল—‘উন্নত দেশগুলোর অনবরত কার্বন নিঃসরণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই ক্ষতির বিপরীতে বাংলাদেশকে যেখানে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেখানে জলবায়ু ফান্ডের টাকা থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ আদায়ে সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখা হবে কিনা?’ প্রশ্নটির উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি.

বাংলা ট্রিবিউন

Please follow and like us:

Check Also

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বেনজীর আহমেদের সম্পদের তথ্য চাইল দুদক

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।