বিএসএফের গুলিতে আবারও বাংলাদেশি নিহত: সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা বাড়ছে

ক্রাইমবাতা রিপোট:   ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গোবরাকুড়া সীমান্তের ১১২৪নং মেইন পিলারের ৫এস সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম মো. খাইরুল ইসলাম (৪০)।  তিনি উপজেলার গোবরাকুড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে।

গোবরাকুড়া ক্যাম্প কমান্ডার মো. উমর ফারুক জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খায়রুল গরু আনার উদ্দেশ্যে সীমানা অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

সীমান্তে আবারো বাংলাদেশী নারী হত্যা এবং যুবকের লাশ উদ্ধার
* পাচারের সময় ২০১৮ সালে গরু আটক ৪০ হাজার, ২০১৯ এ কমে দাঁড়ায় ৩১ হাজার
* সীমান্তে হত্যা ২০১৮ সালে ১৪ জন,  ২০১৯-এ ৩৮, চলতি বছরের ১১ মাসে ৪১

নাছির উদ্দিন শোয়েব : সীমান্তে বিএসএফ এর গুলীতে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় গরু পাচারকে দায়ি করা হয়। দুই দেশের সীমান্তরক্ষি বাহিনী থেকে বলা হয়েছিল গুরু পাচার বন্ধ হলেই সীমান্তে গোলাগুলী এবং বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।  বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষি বাহিনীর (বিএসএফ) শীর্ষ পর্যায়ে সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধ নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। সম্প্রতি বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম সীমান্ত পর্যায়ের শীর্ষ বৈঠকের পর সীমান্তের জনগণকে সচেতন এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারলে সীমান্ত হত্যা কমবে বলে জানিয়েছেন।
তবে একাধিক মানবাধিকর সংস্থার তথ্যে বলা হয়েছে- সীমান্তে গুরু পাচার আগের চেয়ে কমে এসেছে। ২০১৮ সালে পাচার হওয়ার সময়ে গরু আটক করা হয়েছিল প্রায় ৪০ হাজার, আর ২০১৯ এ সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজারের কিছু বেশিতে। চলতি বছর এই সংখ্যা আরো কমে আসছে। বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৮ সালে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ১৪ জন মারা যায়, অথচ ২০১৯-এ সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৮। এতেই মনে হয় সীমান্তে হত্যার সংখ্যা বাড়ছে না কমছে? আরেক পরিসংখ্যানে জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চলতি বছরের (২০২০ সাল) ১১ মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ জন বাংলাদেশী বেসামরিক নাগরিক। তথ্য অনুযায়ী সীমান্তে গুরু পাচার কমে আসলেও বিএসএফ এর হাতে বাংলদেশি নাগরিক হত্যাকান্ড কমেনি ।
এদিকে সীমান্তের জনগণকে সচেতন এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারলে সীমান্ত হত্যা কমবে বলে মনে করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। বিজিবি দিবস-২০২০ উপলক্ষে গত রোববার সকালে রাজধানীর পিলখানায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘সীমান্ত গৌরবে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিজিবির ডিজি বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিজিবি সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছে।’ এরআগে ১৭ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশ শীর্ষ বৈঠকে এবং এর আগে দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘এ বিষয়ে কূটনৈতিকভাবে এবং বিজিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, যেন সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যায়। সেজন্য সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম না করার জন্য তাদের বলা হচ্ছে।’ বৈঠকের পর সীমান্তে অপরাধ কমলেই প্রাণহানি বন্ধ হবে, এমন যুক্তি দেখায় বিএসএফ।
তবে বাংলাদেশে গরুপাচারের ঘটনায় অভিযোগ আছে বিএসএফের বিরুদ্ধে। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, গরুপাচার-কাণ্ডে গত সোমবার ৪ বিএসএফ কর্তাকে তলব করেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সিবি আই। এক ডিআইজি, ২ অ্যাসিট্যান্ট কমাড্যান্ট-সহ ৪ জনকে চলতি সপ্তাহের মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবি আই দফতরে হাজির হতে বলা হয়। আগেই গরুপাচার মামলায় বিএসএফ কমাড্যান্ট সতীশকুমারকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাকে জেরা করে সীমান্তে গরুপাচার সিন্ডিকেটে আরও কয়েকজন বিএসএফ অফিসারের সরাসরি যুক্ত থাকার তথ্য পাওয়া যায়।
চলতি বছরে বিএসএফের হাতে সীমান্তে প্রাণহানির ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে বলে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ। অন্যদিকে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে’ সীমান্তে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার প্রতিবাদে সোমবার কেন্দ্রীয়সহ মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করে দলটি। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশীদের পাখির মত গুলী করে মারছে ভারত এমন দাবি বিএনপির।
ঠাকুরগাও সীমান্তে বাংলাদেশী যুবকের লাশ উদ্ধার : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে  রমজান আলী নামের  এক বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নে সীমান্তে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবক রমজান আলী রাণীশংকৈল উপজেলার কাশীডাঙ্গা গ্রামের ভাদু মোহাম্মদের ছেলে। বিএসএফের গুলীতে নিহত কী-না এমন প্রশ্নের জবাবে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির সেকেন্ড ইন কমান্ডার (টুআইসি) মেজর মুজাহিদুল ইসলাম জানান, কিভাবে সে নিহত হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা তদন্ত করছি।
এবার বাংলাদেশী নারীকে গুলী করে হত্যা: সীমান্তে এবার বাংলাদেশি এক নারীকে গুলী করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার পাকুড়িয়া বিওপি (বর্ডার আউট পোস্ট) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএসএফ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, নদীয়ার পাকুড়িয়া বিওপি (বর্ডার আউট পোস্ট) এলাকায় কাঁটাতার কেটে ভারতের ঢোকার চেষ্টা করছিল বেশ কয়েক জন। বিষয়টি নজরে আসার পর বিএসএফ শূন্যে গুলী চালিয়ে তাদের সতর্ক করে।  কিন্তু এরপরও তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গুলী চালায় বিএসএফ। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গুলীবিদ্ধ অবস্থায় এক নারীকে পড়ে রয়েছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুলা হাসপাতাল ও পরে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিএসএফ জানিয়েছে, নিহত নারীর নাম সাহরন হালদার (৪৫)। তিনি বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাসিন্দা।এ ঘটনায় হাঁসখালী থানায় বিএসএফের পক্ষ থেকে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এরআগে ২০১১ সালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ১৪ বছরের কিশোরী ফেলানীকে গুলী করে নির্মমভাবে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে বিএসএফের গুলীতে জাহিদুল ইসলাম নামের এক যুবক নিহত হন। ১৯ ডিসেম্বর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের আমবাড়ির ছিট সীমান্তে বিএসএফ এর গুলীতে বাংলাদেশি যুবক মিলন হোসেন (৩৩) আহত হয়। গুলীবিদ্ধ মিলন পাটগ্রাম পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার সহিদার রহমানের ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এছাড়া লালমনিরহাটের পাটগ্রামের শ্রীরামপুর সীমান্তে বিএসএফ এর গুলীতে আহত আবু তালেব (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর রাতে রংপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলীতে আহত হন তিনি। তাকে গোপনে রংপুরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিহত আবু তালেব পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর ডাঙ্গিরপাড় গ্রামের কমর উদ্দিন ওরফে শাহীনের ছেলে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে সীমান্তে বিএসএফ এর গুলী ও নির্যাতনে বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলী ও নির্যাতনে ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়। আর চলতি বছরের প্রথম ছয়মাসে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কে উন্নতি ঘটলেও তার প্রতিফলন দেখা যায়নি দুই দেশের সীমান্তে। সীমান্তহত্যা বন্ধে দুই দেশের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হলেও তাতে সীমান্ত পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেনি, বরং মাঝে কিছুটা কমার পর সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা আবার বেড়ে চলেছে। তবে বিএসএফ কর্মকর্তারা বিবিসি বাংলাকে জানান যে সীমান্তে অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা ভারতীয় প্রহরীদের ওপরে আক্রমণ করলে তবেই কেবল প্রাণ বাঁচাতে তারা গুলী চালিয়ে থাকেন। গত বছরের (২০১৯ সাল) প্রথম ছয়মাসে সীমান্তে যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে, এই বছরের প্রথম ছয়মাসে সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের পুরো সময়টায় ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ এর হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪৩ জন বাংলাদেশি – যাদের মধ্যে ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন গুলীতে, আর বাকি ৬ জনকে নির্যাতন করে মারা হয়। ২০১৮ সালে সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এমন বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা ছিল ১৪ জন। সে হিসেবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ২০১৯ সালে প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়। চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোয়।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে মোট ২৯৪ জন বাংলাদেশি নিহত হন। বছরভিত্তিক সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২০০৯ সালে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে মারা যান ৬৬ জন বাংলাদেশি, ২০১০ সালে ৫৫ জন, ২০১১ ও ২০১২ সালে ২৪ জন করে, ২০১৩ সালে ১৮ জন, ২০১৪ সালে ২৪ জন, ২০১৫ সালে ৩৮ জন, ২০১৬ সালে ২৫ জন, ২০১৭ সালে ১৭ জন এবং ২০১৮ সালে ৩ জন মারা যান সীমান্তে। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলোর হিসাবে সীমান্তে হত্যার সংখ্যা অনেক বেশি। সীমান্তে হত্যা বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিলে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে। সেখানে সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনায় প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার না করতে একমত হয় দুই দেশ। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন দেখা যায়নি সীমান্তে।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।