কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় বসতঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাবিনা আক্তার (২১) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার সকালে উপজেলায় পৌরসভার কমরভোগ মহল্লার বাবা ফুল মিয়ার ঘরের বারান্দার কক্ষ হতে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাবিনা আক্তার কটিয়াদী পৌরসভার কমরভোগ মহল্লার সৌদি প্রবাসী দ্বীন ইসলামের স্ত্রী ও একই মহল্লার ফুল মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে পৌরসভার কমরভোগ মহল্লা শয়নকক্ষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাবিনার গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ বুধবার সকালে মরদেহ উদ্ধার ও তার শয়নকক্ষ থেকে রক্তমাখা কম্বল ও বিছানার চাদর জব্দ করেছে।
নিহত সাবিনার বাবা ফুল মিয়া যুগান্তরকে জানান, তার চার মেয়ের মধ্যে সাবিনা সবার ছোট। অন্য মেয়েদের একটু দূরে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে সাবিনাকে তার বড় ভাইয়ের ছেলে সৌদি প্রবাসী দ্বীন ইসলামের সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে দেন। বড় ভাই ও তার ঘর একই আঙিনায়।
সাবিনা আমার বসতঘরের বারান্দার ছোট কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল। মেয়েকে কে বা কারা হত্যা করেছে তা খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
নিহতের মা মদিনা বেগম বলেন, বিয়ের পর তার স্বামী বিদেশ চলে যায়। মেয়েকে স্বাবলম্বী করার জন্য সেলাই কাজের প্রশিক্ষণ নিতে বলেন। মেয়েও আগ্রহ নিয়ে সেলাই কাজ শিখে। ইদানীং মেয়ে বাড়ির আশপাশের ছোট বাচ্চা ছেলেমেয়েদের জামা কাপড় সেলাইয়ের কাজ শুরু করে।
গত রাতেও সে কিছু সেলাই কাজ করে রাত ১১টার দিকে আমাকে সঙ্গে নিয়ে টয়লেট সেরে তার কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। তবে কে বা কারা কীভাবে দরজা খুলে তা বুঝে উঠতে পারছি না।
তিনি ধারণা করছেন, টয়লেটে যাওয়ার পর কেউ ধারালো অস্ত্র নিয়ে চুপিসারে তার কক্ষে লুকিয়েছিল। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে মেয়েকে হত্যা করে তার ব্যবহৃত দেড় ভরি ওজনের গলা, নাক, কানের স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এমএ জলিল যুগান্তরকে জানান, নিহতের মোবাইল ফোনের সর্বশেষ কললিস্টের তথ্য থেকে হয়তো প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসতে পারে। নিহত সাবিনা নিজেই দরজা খুলেছিল, না কি কোনো দুর্বৃত্ত আগে থেকে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।