পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্ট মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লের শিরশ্ছেদে দোষী সাব্যস্ত এক জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে হোয়াইট হাউস।
পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার আহমেদ ওমর সাঈদ শেখকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেন। রায়ের পর পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল সালমান তালিবুদ্দিন বলেন, তিন বিচারপতির বেঞ্চ অপহরণ ও হত্যা মামলায় ওমর সাঈদকে মুক্তি দিয়েছেন। ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক পার্লকে ২০০২ সালে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
পাকিস্তানের এই রায়ে ক্ষুব্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি এ রায়কে ‘সন্ত্রাসের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের জন্য অপমানস্বরূপ’ অভিহিত করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ড্যানিয়েল পার্লের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ওয়াশিংটন অঙ্গীকারাবদ্ধ, বলেছেন সাকি। ড্যানিয়েলের পরিবার এ রায়ের নিন্দা জানিয়েছে।
৪৭ বছর বয়স্ক ওমর সাঈদকে ড্যানিয়েল পার্লকে হত্যার মাস্টারমাইন্ড বিবেচনা করা হয়। ২০০২ সালে ড্যানিয়েলকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। এ মামলায় ওমর সাঈদের প্রাণদণ্ড রায় হয়েছিল।
হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাকি পাকিস্তান সরকারের প্রতি ড্যানিয়েল পার্ল হত্যাকাণ্ডের মামলায় আর কী কী আইনি বিকল্প রয়েছে তা দ্রুত খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানিয়েছেন। যাদের খালাস দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের বিচার করতে সুযোগ দেওয়ার কথা পর্যালোচনা করে দেখতেও বলেছেন তিনি।
রয়টার্স লিখেছে– এমন একসময়ে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্ট সাংবাদিক পার্লের হত্যাকারীদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে।