সাংবাদিকতা একটা চ্যালেন্জের নাম।তার উপর আবার মফস্বল সাংবাদিকতা।সাংবাদিকদের প্রতিটা দিন, প্রতিটা সময় এক এজটি চ্যালেন্জ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় সাংবাদিকতায়।বিভিন্ন প্রকার হুমকি, হামলা মামলার স্বীকার হতে হয় যে পেশায় তার নাম সাংবাদিকতা।তবে ঝুঁকি থাকলেও অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা এটি।সাংবাদিকদের সমাজের আয়না বা দর্পন বলা হয়।তবে হলুদ সাংবাদিকতাও কিন্তু কম নয়। এরা প্রকৃত সাংবাদিকদের সম্মানহানি করে থাকে।আবার কখনো কখনো এগিয়ে থাকার প্রচেষ্টা থেকেও জম্ম হয় অপ-সাংবাদিকতার।আর এতে করে সংবাদমাধ্যমের উপর কমে যাওয়ার প্রবণতা দৃশ্যমান।
যাহোক জেলা উপজেলা সাংবাদিকদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়। একটা সংবাদ সংগ্রহের জন্য ছুটতে হয় একবারে তৃণমূলে।অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় মফস্বল সাংবাদিকদের।দূর্নীতি আর অনিয়ম তুলে ধরতে গিয়ে বিভিন্ন প্রকার হামলা মামলা হুমকির সম্মুখীন হতে হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে যে পূর্ব শত্রুতার জেরে সাংবাদিকদের পরতে হয় হাতকড়া, যা সাংবাদিকদের জন্য একটি চরম লজ্জাজনক বিষয়। প্রতিভাবান এসব সাংবাদিকর্মীদের জীবনযাপনের চিত্র যদি ঢাকার কর্তা ব্যক্তিরা দেখতে পেতেন তাহলে তারা মফস্বল সাংবাদিকদের ব্যাপারে আরো উদার হতো।
আসলে সমাজের স্তরে লুকিয়ে থাকা অসততা, শঠতা,হীনতাসহ নানা অসঙ্গতি, ইতিবাচক বিভিন্ন পর্যায়ের সমস্যা বা প্রতাড়নার মত ঘটনাগুলো সংবাদ আকারে প্রকাশ করেন মফস্বল সাংবাদিকেরা।সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষমতাবান অসৎ ব্যক্তিবর্গ সাংবাদিকদের এমন ভূমিকায় ক্রুদ্ধ হন।তারা নানামাত্রিক কৌশল ব্যবহার করে সংবাদকর্মীদেরকে সংবাদপ্রকাশ থেকে বিরত রাখেন।অন্যদিকে অসৎ জালওয়াতি চক্র নিজেদের পথের কাটা সরাতে সাংবাদিকদের জীবননাশ করতে পিছপা হয় না।এজন্য হয়তো গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিণাথ মজুমদার বলেছিলেন, সৎ সাংবাদিকদের কোন বন্ধু থাকতে নেই। নীতি নৈতিকতার প্রশ্নে এই উক্তিটির মধ্যে লুকিয়ে আছে এই পেশার সত্যিকারের পেশাদারিত্ব। হরিণাথের জীবন যে সবার নয় সেটা কিন্তু অস্বীকার করা যায় না।এভাবেই চলে মফস্বল সাংবাদিকতা।তবে এভাবে চললে হবে না। সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য আইন পাশ করতে হবে।এ আইনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আইনের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।কেননা একতাই বল।একত্রিত থাকলে শক্তি পাওয়া যায়। সাথে সাথে মালিকপক্ষকে সাংবাদিকদের সমস্যা অবলোকন করতে হবে।যেমন এটা অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই যে, বাংলাদেশের মফস্বল সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার জন্য প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে চরমভাবে। আবার অনেক সাংবাদিক জীবীকার তাগিদে একাধিক পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট। এজন্য অবশ্যই এসব সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত। আর সরকারের উচিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ দেওয়া।সাংবাদিক নেতাদের উচিত সাংবাদিকদের নজরে আনা। আর এমনিতেই তো মফস্বল সাংবাদিক একটি চ্যালেন্জিং পেশা।এটা দেশের সকল শ্রেণিপেশার লোকজন জানে।বলতে গেলে এক প্রকার সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয় মফস্বল সাংবাদিকদের।
লেখকঃ মোঃ রাসেল হোসেন, যশোর।
অনলাইন সাংবাদিক।