এমন এক সময় তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছে, যখন সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষমতা ছাড়তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে ক্ষোভও বাড়ছে।
তৃতীয় রাতের মতো দেশটির সবচেয়ে বড় শহরের রাস্তায় হাঁড়িপাতিল পিটিয়ে ও গাড়ির ভেঁপু বাজিয়ে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।
সোমবার ভোরে সামরিক অভ্যুত্থানে সু চিসহ তার দলের অধিকাংশ নেতাকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে গণতন্ত্রের এক দশকের সম্পর্কের অবসান ঘটেছে।
শুক্রবারে আটক উইন হাটেনকে বলা হয় সু চির ডান হাত। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির গণমাধ্যম কি টোই বলেন, ইয়াঙ্গুনে তার মেয়ের বাড়ি থেকে মাঝরাতে আটক করা হয়েছে।
৭৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিক জীবনের দীর্ঘ সময় কারাবন্দি ছিলেন। নিপীড়ক জান্তা শাসকের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে গিয়ে বহুবার তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
গ্রেফতারের আগে উইন হাটেন স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, অভ্যুত্থান বিচক্ষণতা হতে পারে না। এতে দেশের রাজনীতিবিদদের ভুল পথে নিয়ে যাবে। সবারই উচিত এই সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করা। কারণে এতে আমাদের সরকারকে ধ্বংসের মাধ্যমে দেশকে অর্জনহীনতার দিকে নিয়ে যাবে।
আটক হওয়ার পর থেকে সু চিকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থার বরাতে এএফপি বলছে, অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ১৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা ও আইনপ্রণেতা আটক হয়েছে।