মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে জাতিসংঘ প্রত্যয়ী বলে জানিয়েছেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বুধবার তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে এবং সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ করা নিশ্চিত করতে তিনি তার ক্ষমতার সব কিছু করবেন। খবর এএফপির।
মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে গুতেরেস বলেন, মিয়ানমারের সেনা ক্যু ব্যর্থ করতে দেশটির ক্ষমতাসীনদের ওপর কঠোর চাপ প্রয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রতায়কে ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা সব কিছু করব।
মিয়ানমারের ৮ নভেম্বরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে গুতেরেস বলেন, নির্বাচনের পর একটি স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছিল। এমন অবস্থায় নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়া, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাওয়া খুবই অগ্রহণযোগ্য।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, তাদের বোঝাতে হবে যে, এটি দেশশাসনের উপায় না। এভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায় না।
সব বন্দির মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, মিয়ানমারে গণতন্ত্রকে আবারও এগিয়ে নিতে হলে সব বন্দিকে অবশ্যই মুক্তি দিতে এবং সাংবিধানিক নির্দেশ অবশ্যই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে চীন রাশিয়ার সমর্থনের বিষয়টি তুলে ধরে গুতেরেস বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ চীন ও রাশিয়ার ভেটোর কারণে মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ বিবৃতি দেওয়ার সম্মত হতে ব্যর্থ হয়েছে।
৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন অং সান সু চির দল। তবে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এক অভ্যুত্থানে সোমবার সেনাবাহিনী কমান্ডার মিন অং হ্লাইং ক্ষমতা দখল করেন।
আটক করা হয় নির্বাচনে জেতা এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ কয়েকশ আইনপ্রণেতা ও নেতাকে। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে অভিযোগ করে এ অভ্যুত্থান ঘটান সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং।