ক্রাইমবাতা রিপোটঃ সাতক্ষীরা: গত ১৩ ফেব্রুয়ারী ক্রাইমবাতা নিউজ পোটালে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। মুহূতের মধ্যে সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর টিভি,পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে। ঘুরে বসে প্রশাসন।kopotakkho24 এ ভিডিও টি ভাইরাল হয়। প্রায় এক হাজার ব্যক্তি ভিডিওটিতে কমেন্ট করে। দশেকদের অনেকে মন্তব্য করেন এটা মাহফিল ছিল না সিনেমার আড্ডা ছিল। আসলে পুরা মাহফিলটা যেন একটা আড্ডা খানায় পরিণত হয়। মাহফিলের টুকিটাকি নিয়ে কপোতাক্ষ২৪ এর সৌজন্যে থাকছে বিনোদন মূলক একটি ভিডিও। কাউকে হেয় বা আঘাত করার জন্য ভিডিওটি নয়। শুধু মাত্র বিনোদন কেন্দ্রিক এবারের ভিডিওটি।
লিংকে ক্লিক করে ভিডিও দেখুন
ভাল লাগলে আমাদের চ্যানেল subscribes করবেন
———————————————-
কি ঘটে ছিল সে দিন :
বক্তা হিসেবে একজনের নামে ব্যানার লিফলেট করে ওয়াজ মাহফিলের প্রচার করা হলেও অন্যজনকে দিয়ে বক্তব্য দেওয়ানোর ঘটনায় সাতক্ষীরায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রশানের অভিযোগ ওই ইসলামী জলসা আয়োজনের কোন অনুমোদনও নেয়া হয়নি।
ঘটনাকে প্রতারণা আখ্যা দিয়ে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা দিয়েছেন। আর জেলা প্রশাসক বলছেন, ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বস্থ করেন।
১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , সাতক্ষীরা সদরের বালিথা গ্রামে একটি ওয়াজ মাহফিলের ঘটনা। মূল বক্তা হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল একজনের কথা, কিন্তু দেখা গেল বক্তব্য রাখছেন অন্য ব্যক্তি। এ নিয়ে ঘটনার সুত্রাপাত।
সাতক্ষীরা ফিংড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুর রহমান জানান, কোরান তেলোয়াত না করে, কোন আয়াত পাঠ না করে ওয়াজ করা শুরু করলো তখন বুঝতে পারলাম যে উনাকেতো কোন বক্তা বলে মনে হচ্ছে না।
পরিবর্তিত বক্তাকে নকল আখ্যা দিয়ে গণপিটুনি দিয়ে বেরও করে দেয়া হয় মাহফিল থেকে।
মাহফিলের আয়োজক নারী কবিরাজ সালেহা খাতুন বেদুন। তিনি আবুল ফারহা সিদ্দিকীয়া হাফিজিয়া এতিম খানা ও ফুরফুরা দাওয়া খানার প্রতিষ্ঠাতা। তার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
তবে ইসলামী জলসার আয়োজক নারী সালেহা খাতুন বেদুন বলছেন ভিন্ন কথা।
তিনি বলেন, আমি যখন বক্তাদের দাওয়াত দেই তখন তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে আমার একজন শুভাকাঙ্খি আছে তাকে স্টেজে আনা সম্ভব কিনা! তাকে অথিতি বানানো সম্ভব কি না! তখন কোন বক্তার দ্বিমত ছিল না।
প্রতিষ্ঠানটিতে অল্পকিছু ছাত্র হাফিজি পড়ে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এই আওয়ামী লীগ নেতা। তবে এখন আর সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন না বলে জানান তিনি।
ঘটনা খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের কথা জানালেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।
তিনি জানান, জেলা প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। যারা এটি দেখবে যে প্রকৃত অর্থে এই কাজটি কেন হলো? কিভাবে হলো? এবং এর পিছনে আসলে কারণ কি?
ইসলামী জলসার নামে আর যেন এমন প্রতারণা না হয় সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী এলাকাবাসী।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা ঈদগাহের পশ্চিম পাশ্বে আবুল ফারহা সিদ্দিকীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা ময়দানে গত শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে ২৫ তম বাষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল আলহাজ্ব হাফেজ মাও: মো: আবুল কালাম আজাদের।
কিন্তু উপস্থিত জনতার সন্দেহ হলে তারা তার প্রকৃত পরিচয় জানতে চায়। একপর্যায়ে হুজুরের ভন্ডামি ধরতে পেরে হুজুরের মুখের মাক্স খুলতে বলে কিন্তু সে মাক্স না খোলায় পাশে থাকা উপস্থিত ফিংড়ী ইউ পি চেয়ারম্যান মোঃ সামছুর রহমান হুজুরের মুখের মাক্স ধরে টান দিলে নামধারী হুজুর ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় উপস্থিত জনতা তাকে গণধোলাই দেয়।
এবিষয়ে মো. মজিবুর রহমানের সহধর্মিনী সালেহা খাতুন (বেদেনী) এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ৫ মিনিট পর আপনার সঙ্গে কথা বলবো। ৫ মিনিট পর ফোন দিলে সালেহা খাতুন বেদেনী বলেন, ”আপনার সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র নিয়ে আসলে আমি সবই জানাব।”
ওয়াজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্র জগতের নায়ক মেহেদী হাসান মেহেদী ও আমির সিরাজী। চিত্রনায়ক আমির সিরাজী বলেন, ”প্রিন্টারের ভুল হাওয়ায় হুজুরের নাম ভুল করেছে। সে চিত্র জগতের একজন মেকাপম্যান, ভালো একজন এডিটর ম্যান,এবং হাফেজ।”
ভাল লাগলে আমাদের চ্যানেল subscribes করবেন