বিলাল মাহিনী, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভার অধিকাংশ ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
বছরের পর বছর এ অবস্থা চললেও পৌর প্রশাসন বা পুলিশ ফুটপাত দখলমুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসী ও পথচারীর।
তারা বলেন , নওয়াপাড়া পৌরসভা গঠন করার পর থেকে পর্যায়ক্রমে পৌর এলাকার বাজারসংলগ্ন বিভিন্ন সড়কে ব্যবসায়ীরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বর্তমানে পৌরসভাটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হওয়া সত্তেও পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কের দুপাশে শত শত দোকানসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ দোকানই দাঁড়িয়ে আছে ফুটপাত দখল করে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর এলাকার চুড়িপট্টি, কাপড়পট্টি, ভুসিপট্টি, সুপারিপট্টি, কাঁচা বাজার নুরবাগ- মনিরামপুর সড়ক, মেইন রোডসহ পৌর এলাকার প্রায় সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের দোকানের সামনের ফুটপাত দখল করে রেখেছে। কেউ বেঞ্চ বসিয়ে, কেউ চকি বসিয়ে আবার কেউ দোকানের মালামাল ফুটপাতের ওপর রেখে ফুটপাতে রেখে।
অন্যদিকে ভ্যানের উপর মালামাল রেখে কেও চটপতি কেউ বাদাম আবার কেউ ফলমুল অথবা কাচামাল বিক্রি করছে তাছাড়াও নওয়াপাড়ার পৌর এলাকা রাস্তার উপর যত্রতত্র গড়ে ওঠা থ্রি হুইলার স্ট্যান্ডের কারনে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে উঠেছে পৌর এলাকার সড়ক গুলো।
স্থানীয় পথচারী তমাল তরু বলেন, এমনিতেই রাস্তাগুলো অপ্রশস্ত। তবে অবৈধ দখলদার ও নিয়ম নীতি না মেনে গড়ে ওঠা থ্রী হুইলার স্ট্যান্ডেরকারনে আমাদের প্রতিনিয়ত এ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ পৌরবাসীর স্বার্থ না দেখে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখে। তাই দিনের পর দিন এ অবস্থা চললেও পৌর কর্তৃপক্ষ ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ফুটপাত দখল করে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালানো বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়। তারা বলেন, দোকানের জায়গা সীমিত। তাই বাধ্য হয়েই দোকানের সামনের ফুটপাতে তাঁরা মালামাল রাখেন। তবে তাঁরা স্বীকার করেন, এভাবে ফুটপাত আটকে রাখাটা ঠিক হচ্ছে না। কয়েকজন অস্থায়ী দোকানীর সাথে কথা বললে তারা বলেন রীতিমত পৌরসভাকে টাকা দিয়েই ব্যবসা করছি।
এ বিষয়ে নওয়াপাড়া পৌরসভার সচিব মোশারেফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফুটপাত দখল করা দোকানীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন ও অস্থায়ী দোকানীদের যথাস্থানের বসানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।