সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের মেধাবী ছাত্র জীম হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত ও আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার সম্পন্ন করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব হলরুমে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, নিহত রাসুল আহমেদ জীমের বাবা খুলনা শহরের ফুলবাড়িগেট এলাকার শেখ হেমায়েত হোসেন হিমু।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার ছেলে রাসেল আহমেদ জীম (২২) সাতক্ষীরা শহরে তার নানার বাড়িতে থেকে সরকারি কলেজের লেখাপড়া করতো। সে একজন মেধাবী ছাত্র ছিলো। সে ম্যানেজমেন্ট দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া কালীন ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারী তাকে অপহরন করা হয়। পরদিন ২১ জানুয়ারি তিনি (হিমু) সদর থানায় অপহরনের ঘটনায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। এরই সূত্র ধরে পুলিশ মোবাইল ট্যাকিং এর মাধ্যমে ওই দিনই সাতক্ষীরা শহরের চালতেতলা বাগানবাড়ি এলাকা থেকে জনৈক লিটনের বাড়ির ভাড়াটিয়া জাহিদ হাসানকে (২৪) আটক করেন। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার ভাড়া বাড়ির পাশ থেকে জীমের লাশ মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় ২২ জানুয়ারী তিনি (হিমু) বাদী হয়ে জাহিদ হাসানসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১১ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ আসামী জাহিদ হাসানকে গ্রেফতার দেখান। আসামীর স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীতে জীমকে হত্যার ঘটনায় জাহিদের স্ত্রী মোছাঃ সাম্মী আক্তার টুনি(২০) প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করায় তাকেও আসামী করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। তিনি এ সময় আক্ষেপ করে বলেন, মামলাটি ৬ বার কোর্টে উঠলেও তিনি বাদী হয়ে তা জানতে পারেননি। এছাড়া ইতিমধ্যে এমামলার প্রধান আসামী জাহিদ হাসানকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তিনি সংবাদ সম্মেলন থেকে এ সময় তার ছেলে জীম হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত ও আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার সম্পন্ন করার জোর দাবী জানান।
Check Also
আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …