তোমার মনে পড়ে ননিতা?
কবে প্রথম আমরা যুগল হয়েছিলাম,
রক্ত বর্ণ সূর্য থালা তোমার কপাল জুড়ে আলোকিত করেছিলো আমার পৃথিবী?
নীল পাড়ের কালো শাড়ি
গোলাপি কাচের চুড়ি
বাদামি নয়নের চৌদিকে লাল-নীল ঢেউ, কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহে নিখাত কালো কেশের বেনী…!
আমার ভিতর বাহির সবটা আলোড়িত করেছিলো, সহসা একেঁ দিয়েছিলাম রংধনুর রক্ত বর্ণ তোমার টিকলির ভাঁজে।
তুমি স্বপ্ন দেখাতে–
একদিন দূরে হারাবো
সবুজে জড়াবো
জলে বৃষ্টিতে ভিজবো
প্রশান্ত ডিঙিয়ে নব দ্বীপে বাঁধবো ঘর
ছোট্ট সংসার হবে।
দুটি হলদে পাখি, নীল আর নীলিমা চঞ্চলতায় ভরবে ঘর,
পাতার ফোকর বেয়ে নামবে জোছনা বৃষ্টি, শিশির সিক্ত হবো ভোর-বিহানে…।
সেই উচ্ছ্বাস উচ্ছলতা
চাঁদের হাসি
মুঠো মুঠো রোদ্দুর আর জোনাকি কুড়ানো রাত্রি নিমেষেই শেষ হবে, ঝড় আসবে, বাঁধ ভাঙ্গবে..
মরুময় হবে তোমার সাজানো সবুজ বাগান!
ভেবেছো কখনো??
প্রকৃতি বদলে শুষ্ক হয়
ফেটে চৌচির হয় ধরা
সে বদল দৃশ্যময়
কিন্তু মানুষের ভিতরের বদলটা অদৃশ্য থেকে যায়,
পাদদেশে শুধু স্মৃতিগুলো পড়ে রয়।