পবিত্র রমাদানে আত্মশুদ্ধি

আত্মশুদ্ধির মাস রমাদান। আরবি ‘তাযকিয়াতুন নুফুস’ এর বাংলা পরিভাষা আত্মশুদ্ধি। রমাদান মাসে যে ব্যক্তি নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে পারলো না; তার সিয়াম পালন অর্থহীন। শাব্দিকভাবে তায্কিয়া’র অর্থ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হওয়া। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরা তাওবা’র ১০৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তাদের সম্পদ থেকে সাদাকা নাও, এর মাধ্যমে তাদেরকে তুমি পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করবে।’ এছাড়া তায্কিয়া’র আর একটি অর্থ হলো বৃদ্ধি পাওয়া। যেমন ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ রুকন যাকাতকে এ উভয় অর্থের বিবেচনায় যাকাত বলা হয়। কারণ যাকাত আদায়ের মাধ্যমে অবশিষ্ট সম্পদ পরিশুদ্ধ এবং বরকতপ্রাপ্ত হয়ে বৃদ্ধি পায়।

পরিভাষায় ‘তায্কিয়া’ বলতে ব্যক্তির নফসকে শিরক-বিদয়াত ও অন্যান্য পাপাচারসহ সব ধরণের কলুষতাপূর্ণ কাজ থেকে বিরত রাখা এবং উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে নিজের আত্মাকে সজ্জিত করা বুঝায়। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে সে সফলকাম হয়েছে, যে নিজকে পরিশুদ্ধ করেছে, এবং সে ব্যর্থ হয়েছে যে তার নাফ্স (অন্তরাত্মা)-কে কলুষিত করেছে।’ (সূরা শামস ৯-১০)

রমজান বা রমাদান আরবি শব্দ। রমাদান শব্দের অভিধানগত অর্থ হলো প্রচ- গরম, উত্তপ্ত বালু বা মরুভূমি, পুড়ে যাওয়া, ঝলসে যাওয়া, জ্বর, তাপ ইত্যাদি। রমজানে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় রোজাদারের পেটে আগুন জ্বলে; পাপতাপ পুড়ে ছাই হয়ে রোজাদার নিষ্পাপ হয়ে যায়; তাই এ মাসের নাম রমজান। (লিসানুল আরব)।

মহানবী স. এর অমীয় বানী-‘এটি (রমাদান) সংযমের মাস আর সংযমের ফল হচ্ছে জান্নাত।’ (মিশকাত) আরবি মাসসমূহের নবম মাস হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রোজা হচ্ছে ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। রোজা শব্দটি ফারসি। এর আরবি পরিভাষা হচ্ছে সওম, বহুবচনে বলা হয় সিয়াম। সওম অর্থ বিরত থাকা, পরিত্যাগ করা। পরিভাষায় সওম হলো আল্লাহর সন্তুটি কামনায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়তসহকারে পানাহার থেকে বিরত থাকা। রোজা ফরজ হয় দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে। রমাদানের রোজা ফরজ হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে তাকওয়া তথা আল্লাহভীতি অর্জন। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের সুরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি, যাতে তোমরা আল্লাহভীরু হতে পারো, পরহেজগার হতে পারো।’ এ আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি, রোজার বিধান দেওয়া হয়েছে তাকওয়া অর্জনের জন্য, গুনাহ বর্জন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জান্নাতের উপযোগী হওয়া, নিজেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য।

তাই পবিত্র রমাদান মাসে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার প্রানান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আত্মশুদ্ধি তথা তাযকিয়া’র মর্মকথা হলো, সকল প্রকার গাইরুল্লাহ থেকে মুক্ত হয়ে শুধুমাত্র আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা। অর্থাৎ কোনো ভায়া-মাধ্যম ব্যতিরেকে সরাসরি আল্লাহর ইবাদত করা। যেমন পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘আমরা কেবলমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য চাই।’ (সূরা ফাতিহা-৫)

এই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধিকে পবিত্র কুরাআন ও হাদিসে ‘ইহসান’ ও ইখলাস’ নামেও অভিহিত করা হয়েছে। সহীহ হাদিসে তাই ইহসানের পরিচয় দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘তুমি আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করবে যেনো তুমি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছ। আর যদি এটা সম্ভব না হয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাকে দেখছেন, একথা মনে করবে।’ (সহীহ মুসলিম-১০২, বুখারি-৫০)
হযরত আবু হোরায়রা রা. আরও বর্ণনা করেন রাসুলে পাক স. বর্ণনা করেন, প্রত্যেক বস্তুর জাকাত রয়েছে, তেমনি শরীরেরও জাকাত আছে, আর শরীরের জাকাত হচ্ছে রোজা পালন করা। অর্থাৎ জাকাতদানে যেভাবে মালের পবিত্রতা অর্জন হয়, তেমনি রোজা পালনের মাধ্যমে শরীর পবিত্র হয়, গুনাহ মুক্ত হয়। রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ। হজরত আবু হোরায়রা র. বর্ণনা করেন, রাসুল পাক স. ইরশাদ করেন, রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে, একটি তার ইফতারের সময়, অপরটি হলো আল্লাহ্ তাআলার দিদার বা সাক্ষাতের সময়।
বিশ্ব মানবতার কল্যাণের বারতা নিয়ে ধরার বুকে আসীন হয়েছে রমজান। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে প্রতি বছর হাজির হয় পবিত্র মাহে রমজান। তাইতো বিশ্ব মানবতা মাঝে এ মাসে আত্মশুদ্ধির চেতনা জাগ্রত হয়। শুধু আত্মশুদ্ধিই নয়; বরং এ মাসে সিয়াম সাধনার ফলে রোজাদারের দৈহিক সুস্থতাও ফিরে আসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান ও আশেপাশের হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ফার্মেসি সূত্রে জানা যায়, এ মাসে প্রায় সব ধরণের রোগ প্রশমিত থাকে। দেহ ও মনের প্রশান্তির মাস তাই রমজান। সিয়াম সাধনার মাধ্যমেই মানুষ তার নিজের অবস্থার পরিবর্তন সাধন করতে পারে। সূরা আনফালের ৫৩ নম্বর আয়াতে ঘোষিত হয়েছে, ‘যদি কোনো সম্প্রদায় নিজের অবস্থার পরিবর্তন না করে তবে আল্লাহ এমন নন যে, তিনি তাদের যে সম্পদ দান করেন তিনি তা পরিবর্তন করবেন; এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ সূরা আর রাদের ১১ নম্বর আয়াতে আরও স্পষ্টভাবে ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের জন্য তার সামনে ও পেছনে একের পর এক প্রহরী থাকে; তারা আল্লাহর আদেশে তার রক্ষণাবেক্ষণ করে। এবং আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজ অবস্থা নিজে পরিবর্তন করে। কোনো সম্প্রদায়ের সম্পর্কে যদি আল্লাহ অশুভ কিছু ইচ্ছা করেন তবে তা রদ করার কেউ নেই এবং তিনি ছাড়া তাদের কোনো অভিভাবক নেই।’
মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বিবেক, বুদ্ধি ও ভালো, মন্দ জ্ঞানসহ সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। সিয়াম পালনের একটি অন্যতম পূর্বশর্ত হলো সংযম। রোজা পালনের দ্বারা প্রবৃত্তির ওপর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়। এর দ্বারা মানুষের পাশবিক শক্তি অবদমিত হয় এবং রুহানী শক্তি বৃদ্ধি পায়। কেননা ক্ষুধা ও পিপাসার কারণে মানুষের জৈবিক ও পাশবিক ইচ্ছা হ্রাস পায়। এতে মনুষ্যত্ব জাগ্রত হয়। চলনে বলনে চিন্তা-চেতনায় আগ্রহ-আকাক্সক্ষায় আবেগ-উৎকণ্ঠায় আনন্দ-সর্বনাশে সর্বত্র একটা মধ্যপন্থা অবলম্বনের ওপর আল-কুরআনে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এটা অনস্বীকার্য যে, যে কোনো ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি ভিন্নতর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়। যেমন মাত্রা অতিক্রম করলেই সাহস হঠকারিতায়, আত্মোৎসর্গ আত্মহত্যায়, প্রতিযোগিতা হিংসায় পরিণত হতে পারে। অবস্থাবিশেষে সমালোচনা পরচর্চায়, প্রশংসা চাটুবাদে, তেজ ক্রোধে, এবং অতিধর্মপ্রীতি ধর্মান্ধতার স্তরে নেমে আসতে পারে।
পবিত্র কুরআনে পরিমিতিবোধের ব্যাপারে বহুবার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। লুকমান হাকিম তাঁর পুত্রকে উপদেশ দিচ্ছেন, ‘অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না। কারণ আল্লাহ কোনো উদ্ধত অহংকারীকে পছন্দ করেন না। তুমি পদক্ষেপ করো সংযতভাবে এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু করো; স্বরের মধ্যে গর্দভের স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।’ সূরা লুকমান : ৮-১৯। ক্যানভাসে রং ও তুলির সুষম সমন্বয়ে শিল্পের সার্থকতা ফুটে ওঠে। পারিপার্শ্বিক সবকিছুর পরিমিত অবস্থান ও শৃঙ্খলা উপস্থাপনার মধ্যেই সৌন্দর্যের যথার্থ বিকাশ। নিয়মনিষ্ঠা ও সহনশীলতা যে কোনো পরিবেশ-পরিস্থিতিতে মেজাজ-মর্জি, আস্থা ও অবস্থান এমনকি প্রতিক্রিয়া প্রকাশের ক্ষেত্রেও দান করে এক অনুপম মর্যাদা। ওভারটেকিং প্রবণতায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘিত হলে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তাতে দুর্ঘটনাই ঘটে। দেহে রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা অতিক্রান্ত হলে নানান আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। সংগীতে সাতটি স্বরের মধ্যে পঞ্চমটিই মিষ্ট ও সুষম; সপ্তম সুর তো চড়া সুর। রাত ও দিনের মধ্যবর্তী প্রভাত ও গোধূলিবেলা সবচেয়ে পেলব প্রশান্তির মুহূর্ত। অর্থনীতিবিদরা স্পষ্টতই মত প্রকাশ করেছেন, অর্থ সরবরাহে অসম আচরণ এবং সম্পদ বণ্টনে বৈষম্য মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম কারণ এবং মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতির অন্যান্য শৃঙ্খলাকে সংক্রমিত করে বিপর্যস্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা শৃঙ্খলা ও ভারসাম্যে হানে আঘাত; পরিবেশ-প্রতিবেশ হয় কলুষিত।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, ব্যক্তি তথা সামষ্টিক জীবনে সর্বক্ষেত্রে ও পর্যায়ে সংযম ও সহনশীলতা প্রদর্শনের, যুক্তিনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ মধ্যপন্থা অবলম্বনের আবশ্যকতা রয়েছে। সূরা ফুরকানের ৬৭ নং আয়াতে এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, ‘যখন তারা ব্যয় করে তখন তারা অপব্যয় করে না, কার্পণ্যও করে না, বরং তারা আছে এই উভয়ের মাঝে, মধ্যম পন্থায়।’ সূরা বনি ইসরাইলের ১১০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘সালাতে স্বর উচ্চ করো না এবং অতিশয় ক্ষীণও করো না; এ দুইয়ের মধ্যপথ অবলম্বন কর।’ ।

আমাদের বিশ্বাসে ও ব্যবহারে, জীবনযাপন ও মানবিকতায় মাত্রা অতিক্রমকারী বনি ইসরাইল, লুত ও সামুদ জাতির অশুভ পরিণতির কথা পবিত্র কুরআনে প্রায়শই উদাহরণস্বরূপ বর্ণনা করা হয়েছে। সংযম ও সহনশীল হওয়ার উপদেশ বার বার দেওয়ার পর, আল কোরআনে একাধিক স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন সূরা মায়েদা’ ৮৭; ও সূরা বাকারা’র ১৯০নং আয়াতে মাত্রা অতিক্রমকারীর অশুভ পরিণতি এবং বলা হয়েছে আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন না। পবিত্র কুরআনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আচার-আচরণ, চিন্তা-চেতনায় ও কার্যকলাপে মাত্রা অতিক্রমকারীদের স্বাভাবিক সুচিন্তাবোধ ও বুদ্ধি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। পবিত্র কুরআনের সুরা ইউনুসের ১২ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে তখন সে শুয়ে-বসে অথবা দাঁড়িয়ে আমাকে ডেকে থাকে; অতঃপর আমি যখন তার দুঃখ-দৈন্য দূরীভূত করি, সে এমন পথ অবলম্বন করে, যেন তাকে যে দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করেছিল তার জন্য সে আমাকে ডাকেইনি। যারা সীমালঙ্ঘন করে তাদের কর্ম তাদের কাছে এভাবে শোভন প্রতীয়মান হয়।’ পবিত্র রমজান মাসে আত্মশুদ্ধি ও আত্মগঠনের নিমিত্তে আমাদের মধ্যপন্থা অবলম্বন করা করা একান্ত জরুরী।

আত্মশুদ্ধি অর্জনের উপায় বা মাধ্যম : ক) আল্লাহর প্রতি শিরক-বিদয়াত মুক্ত বিশুদ্ধ ইমান বা বিশ্বাস স্থাপন করা। খ) আল্লাহ ভীতিসহ সকল প্রকার পাপাচার তথা গুনাহ থেকে নিরাপদ দূরে থাকা। গ) কুরআন-সুন্নাহ’র কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করা। ঘ) সার্বক্ষণিক জিকির এবং ইবাদতে মশগুল থাকা। ঙ) অল্পে তুষ্ট থাকা তথা অপচয়-অপব্যয় থেকে বিরত থাকা। চ) তকদিরের প্রতি আস্থা রাখা। ছ) সার্বক্ষণিক মৃত্যুর স্মরণ। জ) রাসূল স. কে প্রাণধিক ভালোবাসা। ঝ) দুনিয়া বিমুখ হওয়া। ঞ) তওবা-ইস্তেগফার করা। এবং ট) আল্লাহর রহমাত ও ক্ষমার আশা করা।
মহান রব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে পবিত্র রমজানে নিজকে পরিশুদ্ধ করে আল্লাহ প্রিয় বান্দা হওয়ার তওফিক দান করুন।

লেখক : বিলাল মাহিনী, প্রভাষক : গাজীপুর রউফিয়া কামিল মাদরাসা, অভয়নগর, যশোর।
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সম্পাদক : সিংগাড়ী আঞ্চলিক গণগ্রন্থাগার ও ভৈরব সংস্কৃতি কেন্দ্র, অভয়নগর, যশোর।
আজীবন সদস্য : নওয়াপাড়া ইনস্টিটিউট।

Please follow and like us:

Check Also

যশোরে শ্রমিক লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সম্মেলন ঘিরে উত্তেজনা

ছয় বছর পর  যশোর জেলা শ্রমিক লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়ােছে আজ (শনিবার)। সম্মেলন ঘিরে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।