শিক্ষা ও নৈতিকতার সমন্বয় : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

শুধু ভালো ফলাফলই নয়, ভালো মানুষ তৈরির প্রচেষ্টাই শিক্ষার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। বিখ্যাত ফরাসী দার্শনিক নেপোলিয়ন বলেছিলেন, “আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।” তবে আজকের পৃথিবীতে শুধু শিক্ষিত হলেই ব্যক্তি সৎ হয়ে উঠছেন না, তাই শুধু ডিগ্রীধারী শিক্ষিত নয় বরং সুশিক্ষিত মানুষের বড়ই প্রয়োজন। আগে বলা হতো, পানির অপর নাম জীবন, এখন বলতে হয়- বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। তাই, সুশিক্ষিত জাতি গঠনে যেমন একটি সুশিক্ষিত মা প্রয়োজন, তেমনি একটি দুর্নীতি মুক্ত, সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য প্রয়োজন সৎ, দক্ষ, দেশপ্রেমিক সর্বোপরি নৈতিক ও সচ্চরিত্রবান মানুষ।
আমাদের দেশে যোগ্য মানুষের অভাব নেই, তবে সৎ মানুষের অভাব অপরিসীম। যার অভাব আজ আমরা আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দেখতে পাচ্ছি। আর এই অভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ হলো মেধা ও নৈতিকতার সমন্বয় সাধন করা। যে কারনে মহানবী সা. বলেছেন, “মানুষের প্রতি মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ দান হলো উত্তম আখলাক বা চরিত্র।” আর মানব জাতিকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “নিশ্চয় তোমাদের জন্য রসূলুল্লাহর চরিত্রের মধ্যেই রয়েছে উত্তম আদর্শ।” আজকের পৃথিবীতে আমরা যে বিশ্ব ব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি তাতে Human Values তথা মানবিক মূল্যবোধ আছে, আবার Social Values তথা সামাজিক মূল্যবোধও আছে কিন্তু Ideological Values তথা আদর্শিক মূল্যবোধ একেবারেই নেই। আর Ideological Values তথা আদর্শিক মূল্যবোধ না থাকার ফলে গোটা বিশ্ব ব্যবস্থা আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে। এই প্রক্ষাপটে ঐতিহাসিক সেই ঘটনাটি মনে পড়ে যায় যখন টাইটানিক জাহাজের ক্যপ্টেন টি.এস.ইলিয়ট বলেছিলেন, “Pray for us now, we are at the time of our death.” আজকের এই মৃত্যুকূপ সদৃশ সমাজ ও বিশ্ব ব্যবস্থা থেকে উত্তরনের মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষা ও নৈতিকতার সমন্বয় সাধনের ব্রত নিয়ে আগামির জাতি গঠনে এগিয়ে যেতে হবে।
আমরা চাই আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি, তথ্য-প্রযুক্তির যথোপযুক্ত ব্যবহার ও সুন্দর আচরণিক বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় সাধন করে সমাজের প্রতিটি মানুষকে সৎ, দক্ষ, মেধাবী হিসেবে গড়ার পাশাপশি আদর্শিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানব সম্পদে পরিণত করতে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সেই কাক্সিক্ষত মানের নাগরিক তৈরির সামর্থ দান করুন। আমিন।
শিক্ষার পরিচয় : আমরা জানি ‘Education is the backbone of a nation.’ শিক্ষার ইংরেজী প্রতিশব্দ হলো education’ বাংলা একাডেমির বাংলা-ইংলিশ অভিধানে যার অর্থ করা হয়েছে- শিক্ষা, জ্ঞান, কর্মদক্ষতা, চরিত্র ও মানবিক শক্তির বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণ। যিনি শিক্ষা দেন তাকে teacher, tutor, trainer, professor I instructor বলা হয়। আর শিক্ষার্থীকে student বা trainee বলা হয়। আরবিতে শিক্ষাকে বলা হয় ‘তা’লিম’। আল-কাওসার অভিধানে বলা হয়েছে- ‘তারবিয়াত’, ‘তায়াল্লামুন’, ‘দারসুন’, ‘মারিফাতুন’, ‘তাদরিসুন’ ইত্যাদি। আরবিতে শিক্ষার্থীকে বলা হয় ‘তালবি ইলম’, ‘তিলমিযুন’ বা ‘তলিবুন’ আর শিক্ষককে বলা হয় ‘মুয়াল্লিাম’ বা ‘মুর্দারিস’।
Oxford Advanced Learners Dictionary-তে শিক্ষার সংগা দেয়া হয়েছে এভাবে A process of teaching, training and learning especially in school or colleges to improve knowledge and develop skill.” বিশ্বকবি রবি ঠাকুর শিক্ষার্থীর পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন, “ছাত্র নং অধ্য নং তপ।” জন মিল্টন বলেছেন, “Education development our body mind and soul.” লিও টলস্টয় (রুশ কবি ও দার্শনিক) কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, একটা জাতিকে বড় করার উপায় কি? তিনি বলেছিলেন, Read, Read & Read.”  সর্বপরি আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে শিক্ষার নির্দেশ প্রদান করে বলেছেন, Read by the name of Allah, who has created you,”বিশ্বনবীর সা. ভাষায়, To acquire knowledge is mandatory for all muslims.”  মূলকথাঃ অভ্যাস বা চর্চা প্রভৃতি দ্বারা যা আয়ত্ত্ব করা হয় তাকে শিক্ষা বলে।
বাংলাদেশে শিক্ষার স্তর : বিশ্বের প্রতিটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি মৌলিক কাঠামো থাকে। বাংলাদেশেও শিক্ষার একটি কাঠামো রয়েছে। যার তত্বাবধায়ক হলো শিক্ষা মন্ত্রনালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা কমিশন। আমাদের দেশে শিক্ষার স্তর সাধারণত তিনটি। যথাঃ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা। বর্তমান শিক্ষানীতির আলোকে প্রাথমিক স্তর বলতে শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি, মাধ্যমিক স্তর বলতে  নবম শ্রেণি হতে দ্বাদশ শ্রেণি, ও উচ্চ শিক্ষা বলতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকে বুঝানো হয়েছে। তবে উচ্চ শিক্ষার মধ্যে উচ্চতর গবেষণা তথা এম.ফিল, পি.এইচ.ডি ও অন্যান্য গবেষনা ও অর্ন্তভূক্ত।
বাংলাদেশে শিক্ষার মাধ্যম : আমাদের দেশে শিক্ষার মাধ্যম সাধারণত দুটি। তথা ক. বাংলা মাধ্যম ও খ. ইংরেজী মাধ্যম।
তবে আমাদের গবেষণায় শিক্ষা ব্যবস্থায় আরো কয়েকটি মাধ্যম ধরা পড়েছে। আর তা হলো-
ক. বাংলা ও ইংরেজীর সমন্বয় : যেখানে বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় পাঠদান করা হয়।
খ. শুধু ইংরেজী মাধ্যম : এ মাধ্যমে শুধু মাত্র ইংরেজী ভার্সনে পাঠদান করা হয়। যেটাকে আমরা ইংলিশ মিডিয়াম/ভার্সন স্কুল/কলেজ বলে থাকি।
গ. ইংরেজী, বাংলা ও আরবী মাধ্যম : এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে আমরা আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাকে বুঝি।
ঘ. শুধু আরবী মাধ্যম : যেখানে শুধু আরবী মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হয়। যেমন- কওমী মাদ্রাসা ও কিছু কিছু ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়।
২য় পর্ব
জ্ঞান চর্চায় আইনস্টাইন, একটি উদাহরণ : আইনস্টাইনের ছিলেন একজন বিশ্বজোড়া দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ। তৎকালীন সরকার তার গবেষণা কর্মের জন্য একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন। বাসায় বেশির ভাগ সময় বাইরের লোকজন আসা-যাওয়া করায় তিনি (আইনস্টাইন) তার গবেষণা কর্ম গবেষণাগারে গিয়ে করতেন। এমনকি তিনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত বাসায় আসতেন না। যাইহোক একদিন তিনি গবেষণাগারে যাওয়ার সময় তার বাড়ির দারোয়ানকে বললেন, কাউকে আমার বাসার ঠিকানা বলবে না। কিছুদিন পর তিনি গবেষণাগার থেকে জরুরী প্রয়োজনে বাসায় আসবেন বলে স্থির করলেন, কিন্তু গবেষণায় মগ্ন থাকায় তিনি নিজেই তার বাসার ঠিকানা ভুলে গেছেন। বাসার দারোয়ানকে ফোন করে বলছেন, আমার বাসার ঠিকানাটা বলতো? দারোয়ান বলল, সরি, স্যার যাবার সময় বলে গেছেন, কাউকে বাসার ঠিকানা দেয়া যাবে না। আইনস্টাইন বললেন, ‘আমি নিজেই তোমার স্যার আইনস্টাইন, আমি আমার বাসার ঠিকানা ভুলে গেছি।’ দেখুন, আইনস্টাইনের মনযোগ আর আমাদের মনযোগের মধ্যে কত পার্থক্য। তিনি গবেষণায় এত বেশি মগ্ন ছিলেন যে, নিজের বাসার ঠিকানাটাও ভুলে গেছেন।
নৈতিকতার পরিচয় : ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে, When money is lost nothing is lost, when health is lost something is lost, but when character is lost everything is lost. উক্ত প্রবাদের আলোকে আমরা বলতে পারি যে, উত্তম নৈতিক চরিত্রের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এবার আমরা জানব নৈতিকতা কী? নৈতিকতার ইংরেজী প্রতিশব্দ হলো morality’ যা moral’ শব্দ হতে এসেছে। যার অর্থ হলো, ‘Concerned with principles of right and wrong behavior.’ Or, ‘Based on your own sense of what is right and fair.’ নৈতিকতার পরিচয় দিতে গিয়ে বাংলা একাডেমির ‘বাংলা অভিধানে’-এর অর্থ করা হয়েছে- সদাচরণ, নৈতিকতা, নীতিধর্ম ইত্যাদি। Oxford Advanced Learners Dictionary-তে শিক্ষার সংগা দেয়া হয়েছে এভাবে Principles concerning right and wrong or good and bad.” আল-কাওসার অভিধানে নৈতিকতার আরবী করা হয়েছে, ‘আখলাকিউন’ বা ‘আদাবিউন’। সুতরাং নৈতিকতা বলতে আমরা বুঝি ‘মানুষের সদাচরণ, সচ্চরিত্র, সততা ও নিষ্ঠার বহিঃপ্রকাশ।’ যে কারণে মহানবী সা. বলেছেন, “কোন পিতা-মাতা তার সন্তানকে উত্তম চরিত্র শিক্ষা দেয়ার চেয়ে ভাল কোন কিছু আর দিতে পরে না।”
নৈতিকতার অবক্ষয়, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ : আকাশ সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন, ইন্টারনেট, ফেসবুকের মত অসংখ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যা আমাদের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি করার জন্য তৈরি হলেও বর্তমানে তা ব্যবহৃত হচ্ছে আমাদের তরুন ও যুব সমাজের চারিত্রিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের হাতিয়ার হিসেবে। আজকের দিনের মোবাইল ফোন আমাদের যতটা না উপকার করছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি করছে আমাদের কোমলমতি শিশু-কিশোরদের। অবাধ তথ্য প্রবাহের জন্য স্যটেলাইট টিভি চ্যানেল খুবই জরুরী একটি মাধ্যম, অথচ আজকের দিনে যেসব চ্যানেল আমরা দেখি তার কয়টিই বা আমাদেরকে দেশত্ববোধ, আর্দশিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার বিকাশে অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে থাকে? মা, মাটি, মানুষ তার সবার উপর দেশ এ বানী প্রচার করেইবা কটি চ্যানেল। শিক্ষার প্রচার প্রসারের সাথে সাথে যদি নৈতিক ও আদর্শিক সমন্বয় না থাকে তবে সে শিক্ষা আমাদেরকে অন্ধকারের পথে নিয়ে যেতে বাধ্য।
নৈতিকতার অবক্ষয় রোধে আমাদের করণীয় :  আমরা এমন একটি শিক্ষা পদ্ধতি চাই যার উদ্দেশ্যই হবে মেধা ও নৈতিকার সমন্বয় সাধন করা। যেখানে ‘আচরণিক বৈশিষ্টে’র জন্য আলাদা ভাবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/শিক্ষিকাদের মূল্যায়ন করা হবে। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, নৈতিকতার অবক্ষয় রোধ করাই হলো আমাদের অন্যতম প্রধান টার্গেট। যাতে আমাদের আগামি দিনের প্রজন্ম পড়ালেখা শেষ করে ভবিষ্যতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, পাইলট বা দেশের প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা অথবা রাষ্ট্র পরিচালক হয়ে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে নীতি ও আদর্শের অনুপম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে। এটাই আমাদের ভিশন হওয়া উচিত।
আধুনিক  শিক্ষা ও বিশ্বনবীর সা. শিক্ষা পদ্ধতির তুলনা মূলক আলোচনা : আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বা বিশ্ব ব্যবস্থায় অবশ্যই Human Values তথা মানবিক মূল্যবোধ আছে, আবার Social Values তথা সামাজিক মূল্যবোধও আছে কিন্তু Ideological Values তথা আদর্শিক মূল্যবোধ একেবারেই নেই। আর Ideological Values তথা আদর্শিক মূল্যবোধ না থাকার ফলে গোটা বিশ্ব ব্যবস্থা আজ ধ্বংশের দ্বার প্রান্তে এসে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে। অথচ আমাদের মহানবীর স. এর শিক্ষা পদ্ধতি ছিল তিনটি। যথাঃ Human Values তথা মানবিক মূল্যবোধ, Social Values তথা সামাজিক মূল্যবোধ ও Ideological Values তথা আদর্শিক মূল্যবোধ। যে কারণে The Hundred’ গ্রন্থে মাইকেল এইচ. হার্ট তার নির্বাচিত একশত মনীষীর জীবনীর মধ্যে বিশ্বের একমাত্র সফল রাষ্ট্রনায়ক ও মহামানবদের নাম লিখতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ স. এর নামটি প্রথমে লিখতে ভুলেন নি।
আদর্শিক মূল্যবোধের অভাব, একটি উদাহরণ : একজন চক্ষুবান ব্যক্তিকে যদি রাতের অন্ধকারে একটি মশাল দিয়ে বলা হয়, যাও মানুষদেরকে পথ দেখিয়ে  দাও। সে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তা পারবে। তবে যদি একজন অন্ধকে অনুরূপ একটি মশাল দিয়ে বলা হয়, যাও লোকদেরকে আলোর পথ দেখাও। তবে তার দ্বারা মানুষদেরকে পথ দেখানোর পরিবর্তে অসংখ্য ঘর-বাড়ি ও অর্থিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে সমাজের ক্ষতি সাধন হবে অনেক বেশি। তাই দেখা যায় আমাদের দেশে অভাব নেই শিক্ষিত ও যোগ্য মানুষের,  কিন্তু অভাব রয়েছে নৈতিকশিক্ষা জানা মানুষের। যার ফলে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে আছে ঘুষ, দুনীতি, স্বজনপ্রীতি সহ অসংখ্য অনৈতিক কার্যকলাপ। তাই দেশের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল বোদ্ধা, ধীমান গবেষক ও প্রজ্ঞাবানদের নৈতিকতা সমৃদ্ধ একটি জাতীয় শিক্ষানীতি, পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যবই সংকলনে এগিয়ে আসা সময়ের অনিবার্য বাস্তবতা।
লেখক : বিলাল মাহিনী, প্রভাষক : গাজীপুর রউফিয়া কামিল মাদরাসা, অভয়নগর, যশোর।
  প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সম্পাদক : সিংগাড়ী আঞ্চলিক গণগ্রন্থাগার ও ভৈরব সংস্কৃতি কেন্দ্র, অভয়নগর, যশোর।
  আজীবন সদস্য : নওয়াপাড়া ইনস্টিটিউট।

Check Also

সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে দশ লাখ টাকার মালামাল আটক

সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় দশ লক্ষ টাকার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।