স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর)
যশোরের শিল্প-বানিজ্য ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়ার ঈদ বাজার শেষ মূহুর্মে জমে উঠেছে।
গার্মেন্টস, জুতা, শাড়ি, ছিটকাপড় এবং কসমেটিকসের দোকানে তিলধারণের ঠাঁই মিলছেনা।
প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব মার্কেটে বেচাকেনা করতে ভিড়ে জমজমাট অবস্থা। তবে সবখানে উপক্ষিত স্বাস্থ্যবিধির নিয়মাবলি। অধিকাংশ ক্রেতার মুখেতো মাস্ক নেই, দোকানীদেরও মাস্ক ব্যাবহারে চরম অনীহা লক্ষ্য করা গেছে।
এছাড়া স্যানিটাইজ ব্যবস্থাও নেই অধিকাংশ দোকানে। এ অবস্থায় চলছে নওয়াপাড়ার ঈদ বাজার।
উপজেলা প্রশাসন দাবি করেছে নিয়মিত মনিটরিং অব্যহত রয়েছে। যদিও মাঝে মাঝে বিকালে ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের কোন তদারকি দিনভর দেখা যায় না। তাছাড়া রাত আটটার পর পুলিশি তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। তবে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি ক্রেতা-বিক্রেতারা ইচ্ছেমত কেনা কাটা করছে। স্বাস্থ্যবিধি শব্দটা যেন কেবল মুখেই সীমাবদ্ধ।
বাজার কমিটিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে নজরদারীর নির্দেশনা থাকলেও তাদের তৎপরতাও দেখা যায়না।
ফলে ঈদের পরে নওয়াপাড়াসহ অভয়নগর উপজেলায় করোনার সংক্রমন বাড়ার আশংকা করেছেন সচেতন মহল ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে গতকাল যশোরে দুইজনের শরীরে ভারতের করোনার ধরন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ উদ্বেগ ও শঙ্কা আরও বেশি মাথাচাড়া দিয়েছে। মাগুরা গ্রামের জনৈক গৃহবধূ তার ছোট শিশু সন্তানকে নিয়ে শনিবার গার্মেন্টস মার্কেটে আসেন পরিবারের জামা-কাপড় কিনতে।
কিন্তু রোদের খরতাপ আর ভিড়ের চাপে বিশ্রাম নেয়ার ফাঁকে কথা হয় তার সাথে।
তিনি বলেন, কষ্টে আর পারছিনা, তাই বসে বসে বিশ্রাম নিচ্ছি। গার্মেন্টসের মালিকরা বলছেন, হঠাৎ করে বাজার জমে যাওয়ায় বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিধির বিষয়ে কথা বললে তারা বলেন, গরমে আর মানুষের চাঁপে একটানা বেশি সময় মাস্ক মুখে রাখলে দম বন্ধ হয়ে আসছে। তাই মাঝে মাঝে খুলে রাখছি। এদিন বাজার ঘুরে অধিকাংশ ক্রেতা ও বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
এদিকে, বেশি ভিড় চোখে পড়ছে গার্মেন্টসের দোকানগুলিতে। থ্রিপিচ, মেয়েদের গাউন, ফোরাগ, ছোট বাচ্চাদের নানা ধরনের পোশাক কিনছেন অভিভাবকরা।
এছাড়াও জুতার দোকানগুলোতেও ভিড়ের কমতি নেই।