নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘সাংবাদিক পরিচয়ে’ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে টাকা দাবী ও আদায় করার
ঘটনায় কলারোয়া থানায় অভিযোগ হয়েছে। থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে এমনটি জানা গেছে।
উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল ওই অভিযোগটি করেন।
তিনি অভিযোগে বলেন- ‘উপজেলার গণপতিপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান খানের ছেলে সেলিম খান নিজেকে একজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গত ২৬মার্চ-২১তারিখে তার ইউনিয়ন পরিষদে যান। সেখানে বলা হয় ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে ঘাবলা আছে। তার কাছে বহু অভিযোগ আছে বলে তার অনলাইন ও ফেইসবুকে সংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কথা ভেবে ওই সেলিম খানকে ২হাজার টাকা প্রদান করেন তিনি।
এর পরে গত ৩০এপ্রিল-২১তারিখে উপজেলা পরিষদ এর সামনে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে ওই ব্যক্তি বাকী ৮হাজার টাকা দাবী করে। ওই টাকা না দেওয়াতে গত ৫মে-২১তারিখে সে তার ফেইসবুকে আইডিতে একা ধারে ইউপি চেয়ারম্যানের ছবি বিকৃত করে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ঘটনা লিখে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’
এঘটনা উল্লেখ্য করে ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল বাদী হয়ে সেলিমকে আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বর্তমানে অভিযোগটি তদন্ত করছেন থানার এসআই হাফিজুর রহমান।
বুধবার ১২মে-২১তারিখে সকালে ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল অভিযোগ করে আরো বলেন- ‘থানায় অভিযোগ দেয়ার পরেও উল্লেখিত ব্যক্তি ফেইসবুকের আইডিতে আবারও হয়রানীমূলক তথ্য ছড়িয়ে দিয়েছে। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোন পক্ষের হয়ে ক্ষতি করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ফেইসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
কথিত ওই সাংবাদিক দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
এদিকে সেলিম খান বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তিনি ঢাকার একটি গার্মেন্টস চাকরি নয়। নিজেই একটি পরিচালনা করতেন বলে দাবী করেন ।
বাড়ীতে এসে দমদম বাজারে অবৈধ ভাবে সরকারের অনুমতি (লাইন্সেস) ছাড়াই মানুষ ও হাস-মুরগীর ওষুধ বিক্রয় শুরু করে। বর্তমানে এই ব্যবসার সাথে সে সংবাদ সংগ্রহের নামে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের হয়রানী করে আসছে।’
তিনি বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এদিকে, এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে কলারোয়া থানার ওসি’র সরকারি মোবাইল ফোন নাম্বারে বুধবার বেলা ৩টা ও বিকাল সাড়ে ৫টার একটু আগে একাধিকবার কল করা হলেও কেউ রিসিভি করেন নি।