সব্যসাচী বিশ্বাস (অভয়নগর) যশোরঃ
বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরর ইউনিক এন আই ডি তৈরীর লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধনসহ আরো কিছু কাগজ প্রদান করতে বলে। এর ফলে শুরু হয়েছে ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন। পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে সরকার নির্ধারিত ফি’র টাকা জমা দিয়ে নিতে হচ্ছে ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন। সেই জন্মনিবন্ধন করতে একটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মো. সাইদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী রুনা আফরোজার বিরুদ্ধে।
জন্মনিবন্ধন করতে আসা শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে নির্ধারিত ফি (৫০ টাকা) এর পরিবর্তে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।
চলিশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে জন্মনিবন্ধন করতে আসা নওয়াপাড়া মডেল কলেজের ছাত্র কাজল বলেন, ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন করার জন্য উদ্যোক্তা সাইদুর রহমান ৭শ’ টাকা দাবি করেন। টাকা কম দিতে চাইলে জন্মনিবন্ধন করতে পারবেন না, এমনটি বলেছেন।
নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মিকাইল হোসেন ৩শ’ টাকা জমা দিয়ে জন্মনিবন্ধন পাইনি বলে অভিযোগ করেন। চারদিন অতিবাহিত হলেও তাকে ঘোরানো হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার এমন অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া যায় উদ্যোক্তা সাইদুর ও তাঁর স্ত্রী আফরোজার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে উদ্যোক্তা সাইদুর রহমান জানান, আমাদের বেতন দেওয়া হয় না। যে কারণে জন্মনিবন্ধনে সরকারি ফি এর থেকে মাত্র ৫০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে অনেকে মিথ্যা অভিযোগ করছে। যদি কেউ টাকা গ্রহনের রশিদ চায় তাহলে দেয়া হয়।
সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে মহিলা উদ্যোক্তা রুনা আফরোজ জানান, মানি রিসিভ দেয়ার কোন সরকারি নির্দেশনা আমরা পাইনি। ইউপি চেয়ারম্যান নাদির মোল্যা জানান, জন্মনিবন্ধন করতে সাইদুর ও তাঁর স্ত্রী অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়েছি।
দুইজনকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুর রহমান জানান, ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জনসাধারণের এ ভোগান্তি নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এভাবে চলতে থাকবে তাদের কার্যক্রম, এমনটাই সমাজের সচেতন মহলের ধারনা।