ক্রাইমবার্তা নির্যাতিত মানুষের পাশে
সব্যসাচী বিশ্বাস (অভয়নগর) যশোরঃ
যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন হিদয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিতন্ডার এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। প্রতিপক্ষের হাতুড়ি, হাসুয়া ও লাঠির আঘাতে মৃত উকিল মোল্লার দুই মেয়ে রিক্তা বেগম(২৭) ও শরিফা বেগম (৪৮) মারাত্মক আহত হন। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা মারাত্মক বিবেচনায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তারা এখন যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চিকিৎসাধীন আছেন।
গত ২৬/৫/ ২০২১ বুধবার দুপুরে এ হামলর ঘটানা ঘটে। আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তাদির রহমান শুভ জানান, হাতুড়ি ও হাসুয়া দিয়ে পিটিয়ে ও পা দিয়ে পিষে রিক্তা ও শরীফাকে মারাত্মক যখম করা হয়েছে। রোগীর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাতুড়ির আঘাত ও বুকে পা দিয়ে পিষে আঘাত করা হয়েছে। পা দিয়ে আঘাত করায় অনুমান করা হচ্ছে বুকের হাড় ভেঙ্গে গেছে। আহত দুই বোনের অবস্থা আশংকা জনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে স্থানীয় সভা শেখের ছেলে মোশারফ হোসেন ও মৃত উকিল মোল্যার ওয়ারেশদের মধ্যে দীর্ঘ্য দিন ধরে বিবাদ চলে আসছে। ঘটনার দিন উকিল মেল্যার ওয়ারেশদের দখলে থাকা নারকেল গাছ থেকে মোশারফ হোসেন তার পক্ষের লোকজন নিয়ে জোর পূর্বক নারকেল পাড়ছিলো। এ সময়ে রিক্তা ও শরীফা বাঁধা দিতে গেলে মোশারফ হোসেনের লোকজন হাতুড়ি, হাসুয়া ও লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষকে হামলা করে। হামলার সময়, তাদের হাতুড়ি, হাসুয়া ও লাঠির আঘাতে রিক্তা বেগম ও শরীফা বেগম মারাত্মক যখম হয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়।
এ ঘটনায় আহতের ভাই মোহাম্মদ আজিজুর রহমান মোল্যা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২৮ তারিখ: ২৬/৫/২১। থানার অফিসার ইনচার্য (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, হিদিয়া গ্রামে নারীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতাররের চেষ্টা চলচ্ছে।
