প্লাবিত প্রতাপনগর ছাড়ছে বানভাসি অসহায় মানুষ

মাসুম প্রতাপনগর (আশাশুনি) থেকে \ প্লাবিত প্রতাপনগর ছাড়ছে বানভাসি অসহায় মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে আর মাছ ধরার নৌকার উপর বসবাস করছে অসহায় অনেক পরিবার। জীবনযাত্রায় উদ্বাস্তু হয়ে বিধ্বস্ত ভিটাবাড়ি ছেড়ে অজানা গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলের অনেক পরিবার। উপকূলীয় অঞ্চল প্রতাপনগর ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের ভাগ্যে যেনো অমাবস্যার গাড়ো কালো অন্ধকার রাত নেমে এসেছে। যার সুবহে সাদিক হওয়া মনে হয় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত বছরের ২০ মে মহা প্রলয়ঙ্কারী জ্বলোচ্ছাস ঘুর্নিঝড় আম্ফানের ক্ষত না শুকাতেই আবারো ঘুর্নিঝড় ইয়াস প্রভাবে গত ২৬ মে বুধবার প্রতাপনগরের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের কয়েকটি পয়েন্ট ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে সাগর নদী আর জনপদ মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে। গত বছরের প্লাবিত অবস্থায় প্রতিদিন দুই বার কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর লবণাক্ত বিষাক্ত জ্বলের জোয়ারে ভাটার লোনাপানি উঠানামা করত। যার প্রেক্ষিতে ভাটায় পানি নদীতে নেমে যাওয়ার পর প্লাবিত অবস্থার মানুষেরা তাদের রান্না খাওয়া, দাওয়া গোসল সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক কাজ সেরে নিত। দুর্ভাগ্য জনক সত্য কথা যে এ বছরের ভাঙ্গনে নদীর জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছ যে পরিমাণ ভাটায় নেমে যাচ্ছে সীমিত পরিমাণ। যার কারণে সব সময়ই প্লাবিত অবস্থায় ভুক্তভোগীদের সিমাহীন যন্ত্রা সহ্য করে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় যারা ব্যর্থ তারাই তাদের বাব দাদার রেখে যাওয়া বসত ভিটা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাচ্ছে অনেক ভুক্তভোগী অসহায় উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবার। প্রতাপনগর ইউনিয়নের সার্বিক পরিস্থিতি এতটাই দুর্বিসহ ময় হয়েছে যে তা লিখে বুঝানো সম্ভব নয়। চারিদিকে শুধুই কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর লবণাক্ত বদ্ধ পানি আর পানি। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত আর পরিবার পরিজন জীবন যাপনে চরম বিপন্ন অবস্থা ও পর্যাপ্ত নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র তথা সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন পরিবার পিতা মাতার রেখে যাওয়া বসত ভিটা ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি জমিয়েছেন। সর্বোপরি দুর্বিসহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে উত্তরণের জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা কামনা করছেন উপকূলীয় প্রতাপনগর ইউনিয়নের প্লাবিত অসহায় মানুষেরা।

Please follow and like us:

Check Also

২৮শে এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারেও ক্লাসের পরিকল্পনা

আগামী ২৮শে এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।