ধনীর ধনে যেমন তৃপ্তি মেটে না
তেমনি ইলম (জ্ঞান) অনুসন্ধানীর ইলম অর্জনেও আত্মা ভরে না।
একজন সম্পদশালী যতোই সম্পদের মালিক হয়, ততই তার সম্পদের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। যার যত সম্পদ তার ততো চাহিদা।
ধনীর অভাব কখনো কমে না, বরং বাড়তে থাকে।
যেমনটি বিশ্বনবী স. বলেছেন, ‘কোনো আদম সন্তানকে যদি দুটি স্বর্নের পাহাড় দেয়া হয়, তবে সে তৃতীয়টির জন্য লালায়িত থাকবে। (আল-হাদিস)
একইভাবে যিনি ইলম তথা জ্ঞান অর্জন করতে থাকেন, বৃদ্ধ বয়সেও তিনি জ্ঞানের পেছনে দৌড়াতে থাকেন।
জ্ঞান পিপাসা তাঁর মিটে না কখনো।
জ্ঞান সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলতে থাকেন, ‘আমি কিছুই জানি না, মনে হয় যেনো জ্ঞান সমুদ্রের কিনারে দাঁড়িয়ে কিছু বালুকনা কুড়িয়েছি মাত্র।’
জ্ঞানী এবং সম্পদশালীর মধ্যে এই সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। দুজনের কারোরই ধনে এবং জ্ঞানে তৃপ্তি মেটে না।
যেমন আসমানী কিতাব আল কুরআনের ব্যাখ্যার কোনে সীমা নেই। কেনো মুফাসসির-ই পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যা লিখে শেষ করতে পারবেন না।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘দুনিয়ার সকল বৃক্ষ যদি কলম হয় এবং সাগর মহাসাগরের পানিগুলো যদি কালি হয়, এরপর উক্ত কলম-কালি দিয়ে যদি তোমরা কুরআনের ব্যাখ্যা লেখা শুরু করো তবে, তোমাদের কলম কালি সব শেষ হয়ে যাবে কিন্তু কুরআনের ব্যাখ্যা লেখা শেষ হবে না।’
তবে মজার ব্যাপার হলো, জ্ঞান অন্বেষণকারী জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে অমৃত সুধা তথা পরম সুখ লাভ করেন। কিন্তু ধনী ব্যক্তি তার ধন-সম্পদ বৃদ্ধির সাথে সাথে অসুখী হতে থাকে।
সম্পদ যার যত বেশি দুশ্চিন্তা অসুখ ততো বেশি দেখা দেয়। তাইতো, রাজার অসুখ নিরাময়ের জন্য সুখী ব্যক্তির জামা খুঁজতে গিয়ে এমন একজন সুখী মানুষ পাওয়া গেলো, যার জামাই নেই।
এ আলোচনা থেকে স্পষ্ট বুঝতে পারি যে, জ্ঞানের পথে নিজেকে সপে দিতে পারলে এবং স্বল্প সম্পদে তৃপ্ত থাকলে দুনিয়ায় সুখী মানুষ হিসেবে চলা সহজ হয়।
(অমা তৌফিক ইল্লা বিল্লাহ)