ওরা জাতির পিতার ছয় দফার সাথে করে বেইমানি
কালো টাকা করে সাদা
কেনে হীরের ফুলদানি।
ওরা পাচার করে দেশের ধন
উজাড় করে দেশের গভীর বন।।
শ্রমিক ফকিরের ঘাম ঝরানো কষ্টের আয়-ইনকাম
রক্তচোষা খাবোলে সিঁদ কেটে চুরি করে যায়, ওরা
অতিশয় ভীত, গোবেচারা তবু কিচ্ছু কয় না, গপ্সে গপ্সে গিলে তবু
নুনহীন পচা ফ্যান-ভাত।
দ্রোহ জমে জমে আগুন হয়
ক্ষোভের আলতা মেখে গর্জে ওঠে
হেঁচকা টান মেরে ওরা খুলে ফেলে
মহাজনদের আসল রূপ
কেউ কি ভাবছে, কী হবে ওদের দশা!
তাড়া খেয়ে এক লাফে কে কোথায় দেবে পাড়ি? কোথায় হারাবে মজুর ফাঁকি দিয়ে কেনা গাড়ি!
ওরা চিরসুখী মানুষের প্রেম কেঁড়ে খায়, তিতির পাখির মতো ক্ষুধাকে উড়ায়।
ক্ষুধিতের থালায় মাপা এক কুড়ি ভাত
দাঁত ভেঙে যায় পিষতে, নিবারণ হবে কী পেটের জ্বালা?
ক্ষুধিত পাষানেরা জেগে ওঠে একদিন, ঘুম ভাঙে মরণের,
বেজন্মার হাতে তবু মজলুমের টাকায় কেনা গুলি
রাক্ষসের মিছিল হবে, গুলি শেষ হবে
লগি বৈঠা মশালের জয় হবে, পতপত উড়বে শোষিতের বিজয় নিশান।
জাত বর্ণ ধর্ম বিলিন হবে
কামার কুমার ঋষি মেথরের রাজ হবে, পাপিষ্ঠ ব্রাহ্মণ, খুলে ফেলেবে নম্র কাঁকন
মাংসের দাবা খেলা শেষ হবে,
পড়ে থাকা গোলামের গুঁটি চলবে ঢেরবেশি।
এখনো আঙ্গুলে লজ্জাহীন বেদনা ফুটায় ত্রাণহীনা
মনে করে, এ আমার প্রকৃতির দায়।
কিন্তু না, এ তো হরিলুটের ফল
যন্ত্রণার কল।
হাতুরি পিটিয়ে ঘামের রক্ত স্রোতে
বিজয়ীর নাঙ্গা খুন ঝরে উল্লাসের রাঙা সূর্য পুবাকাশে রঙ ছড়াবে।
খাঁচা ভেঙ্গে অসভ্যকে তুলে এনে
পিঁড়িতে বসাবে, খুলে ফেলে সভ্যতার গিঁট।
আগুনের শিশ দিয়ে ঝলসাবে দম্ভপাহাড়
খসে পড়বে ইট, যেনো ওরা নরকের কীট।
ভাঙবে ওদের নারকীয় কালো হাত
কেটে যাবে আঁধারের কালো রাত।।