জজ কোর্ট ও চিফ জুডিশিয়াল কোর্টের প্রাচীর অপসারিত করে রাস্তা নির্মাণের উদ্বোধন

সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এর প্রচেষ্টায় জজ কোর্ট ও চিফ জুডিশিয়াল কোর্টের মধ্যকার কালেক্টরেট চত্বরের আংশিক প্রাচীর অপসারিত করে রাস্তা নির্মাণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা সদরের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল আযমসহ আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ প্রাচীর অপসারন করা হয়।

জানা গেছে, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারিদের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট আন্তরিক হন জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান।
তিনি করিডোর নির্মাণ পূর্বক সমস্যা সমাধানের লক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করা, সব সময় খোজ খবর নেওয়াসহ তদারকি করেন। একপর্যায়ে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জাজ‘র আন্তরিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরাবাসীর বহুদিনের স্বপ্ন সফল হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুর ১২টায় কালেক্টরেট চত্বরের অংশ বিশেষ অপসারন করে করিডর নির্মাণের কাজ প্রশস্ত হয়।

সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম জানান, জুডিশিয়াল কোর্টে বিচার শুরু হওয়ার পর কালেক্টরেট চত্বরের জজ কোর্ট থেকে জুডিশিয়াল কোর্টে আসার জন্য প্রধান সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হতো আইনজীবী, আইনজীবী সহকারি, বিচারপ্রার্থী ও বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের। এতে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হন। ফলে কালেক্টরেট চত্বরের ডবল প্রাচীরের অংশ বিশেষ অপসারন করে যাতায়াতের জন্য সেখানে করিডোর নির্মাণ করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়ায়। সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সাহেবের প্রচেষ্টায় এটির সুষ্ঠ সমাধান হয়েছে।

কালেক্টরেট চত্বরের প্রাচীরের অংশ বিশেষ ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার পর সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেন, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারিদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে তিনি কয়েক মাস আগে আইনমন্ত্রণালয়, গণপুর্ত মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে মন্ত্রীপরিষদের পৌঁছায়। মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে কালেক্টরেট চত্বরের প্রাচীরের অংশ বিশেষ অপসারন সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ৫ জুন তিনি হাতে পান। ওই চিঠিতে থাকা নির্দেশনা অনুযায়ি তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে প্রাচীর অপসারনের কাজ শুরু করেন।
জেলা ও দায়রা জজ আরো বলেন, করিডোর স্থাপনের ফলে জজ কোর্ট ও জুডিশিয়াল কোর্টের মধ্যকার দূরত্ব কমে যাবে। তাতে যাতায়াতে সুবিধা হবে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের। যাহা ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রাখবে।#

Please follow and like us:

Check Also

আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার

২০২৫ সালে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।