সব্যসাচী বিশ্বাস (অভয়নগর) যশোর:
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া মডেল কলেজ রোডে সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, এবং সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও যানবাহন। দুর্ঘটনাও ঘটে প্রায়শই। এখন বর্ষাকাল বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন।
গত ১১ জুন ২০২১ (শুক্রবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে সড়কটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যার কারনে সড়কটি যানবহন ও মানুষের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ।
এলাকাবাসী ও পথচারীদের অভিযোগ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারনে বর্ষা মৌসুমে তাদের সামান্য বৃষ্টিতে এ ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাদের দাবী, স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের উদাসীনতায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারা অভিযোগ তুলে বলেন, বিষয়টি নিয়ে বহুবার স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের শরণাপন্ন হলেও কোন সুফল মেলেনি। এসময় তারা সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তুলতে যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানায়।
এই রাস্তাটির প্রান্তেই অভয়নগর উপজেলার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান নওয়াপাড়া মডেল কলেজ অবস্থিত। কলেজ চলাকালীন সময়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে ছাত্র ছাত্রীরা। বিষয়টা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন কলেজ ছাত্র বলেন, বর্তমানে করোনা মহামারির জন্য কলেজ বন্ধ, তবে ইতিপূর্বে কলেজ খোলা থাকাকালীন বর্ষা মৌসুমে প্রতিনিয়ত আমাদের এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কলেেজ যাবার সময় জুতা খুলে হাতে নিয়ে হাঁটু পর্যন্ত কাপড় উঠিয়ে তারপর কোন ক্রমে কলেজে পৌচ্ছেছি। অনেক সময় নোংরা পানি কাঁদায় কাপড় নষ্ট করেই কলেজে ক্লাস করেছি। তবে ছাত্রীদের জন্য হাটু পর্যন্ত কাপড় উঠিয়ে কলেজে যাওয়াটা সত্যিই লজ্জার। কাজেই রাস্তাটির পানি অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন অতীব জরুরী।
এ বিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল জিয়াউদ্দিন পলাশ বলেন, ইতোমধ্যে পানি নিষ্কাশনের জন্য সিআরডিপির প্রজেক্টের অনুমোদন হয়েছে, তবে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় প্রজেক্টের কাজটি স্থগিত আছে।