স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় যশোরের অভয়নগর উপজেলা আবারও লকডাউনের চাদরে মোড়ানো। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে নওয়াপাড়ায় ট্রাফিক পুলিশের দৌরাত্ম সাধারণ মানুষের মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।
ক্ষোভ প্রকাশের ভাষা পাচ্ছেন না হয়রানির শিকার হওয়া সাধারণ মানুষে।
এদিকে সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেল আটকে রেখে দেওয়া মামলা। মামলার কাগজপত্র নিয়ে পোহাতে হচ্ছে চালকদের চরম ভোগান্তির সময়। করোনা ঠেকানোর নামে বরং প্রশাসনের এই নাটকীয় সহযোগিতায় সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকছে মোটরসাইকেল চালকেরা।
চালকদের দাবি; কাগজপত্রের জটিলতা সবার মধ্যেই রয়েছে। চালকেরা উল্লেখ্য করে বলেন, জরুরী প্রয়োজনীয় ছাড়া কেউই ঘর থেকে বাহিরে বের হয়না। নিজস্ব যাতায়াত ব্যবস্থা থাকায় তারা ঘর থেকে প্রয়োজন সেড়ে ঘরে ফিরবেন বলে বের হন। অথচো ট্রাফিক পুলিশের দৌরাত্ম’র ফ’লে করোনা সংক্রমণে তাদের জোর করে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
ট্রাফিক পুলিশের দৌরাত্ম’র হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না যেমন, সাধারণ মানুষ সেই সাথে আটকে রাখা হচ্ছে গণমাধ্যম কর্মীদের মোটরসাইকেল, স্বাস্থ্যকর্মীদের মোটরসাইকেল, জরীরু কৃষি কাজে নিয়োজিত, জরুরী ঔষধ কাজে নিয়োজিত সহ জরুরী ভিত্তিতে রোগী বহন করা মোটরসাইকেল।
ট্রাফিক পুলিশের এই দৌরাত্ম’র ফ’লে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করছে সকলেই। এদিকে যানজট স্বাভাবিক করার ব্যাপারে শূন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে জনসাধারণের ভাষ্যে উঠে এসেছে।
এছাড়া আটকে রাখা একমাত্র মোটরসাইকেল চালকদের থেকেই করোনার সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে বলে হাস্যকর সব মন্তব্যও আসছে।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারের নূরবাগ মোড়, বেঙ্গলগেট স্বাধীনতা চত্বর সহ বিভিন্ন সড়কেই একমাত্র মোটরসাইকেলই আটকে রেখে মামলা দেওয়া হচ্ছে। আবার মোটরসাইকেলকে আসামী করে অভয়নগর থানায় জব্দ করে রাখা হচ্ছে।
কাগজপত্রের জটিলতা সারতে পাঠানো হচ্ছে যশোর ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে।
আর কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে ব্যবহার করছে বাস, ইজিবাইক, ইজিভ্যান। বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসা যাত্রীদের মধ্য থেকে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ হার।
আর এই সংক্রমণের দায়ভার কে নিবে? সরকার নাকি প্রশাসন? প্রশ্ন জনসাধারণের।