#সাক্ষাৎকার: ওস্তাদ তাফাজ্জল হোসেন খান।
‘আল্লাহ আমার রব
এই রবই আমার সব’
গানের গীতিকার সুরকার ও শিল্পী তোফাজ্জল হোসেন খান।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : মিরাদুল মুনীম।
অসংখ্য কালজয়ী গানের রচয়িতা তিনি । একই সাথে গেয়েছেন, গাইয়েছেন ও সুর করেছেন। তবে নিজের কোন গানের অ্যালবাম করেননি। । বলছিলাম বাংলা ইসলামী সংগীতের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী তোফাজ্জল হোসেন খানের কথা । শিল্পী তোফাজ্জল হোসেন খান ১৯৫৫ সালে গাজীপুর জেলার কাঁপাসিয়া থানার উত্তরখামের গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা রফিকুল ইসলাম খান ছিলেন হাইস্কুল শিক্ষক। তিনিও ছিলেন খেলাধুলা গান-নাটকে সমান পারদর্শী। পিতার সঙ্গীত প্রতিভার পুরোটা পান তিনি। ৫ বছর বয়সে বাবা এবং দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মাকে হারান। গ্রামের হাইস্কুল থেকে এস.এস.সি. পাশ করার পর ঢাকার কবি নজরুল কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও বি.এড সম্পন্ন করেন। বি.এড পড়া অবস্থায় চাকুরি নেন জনতা ব্যাংকে । তারপর জগন্নাথ কলেজ থেকে —– সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে (নৈশ শাখা) মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ডিগ্রিতে পড়া অবস্থায় পরিচয় হয় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রাণপুরুষ কবি মতিউর রহমান মল্লিকের সাথে। এরপর শুরু হয় ইসলামী সঙ্গীত চর্চা। এর আগে তিনি গান শিখতেন একটি মিউজিক স্কুলে। একের পর এক লিখেছেন গেয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে তিনিও অন্যতম। কর্মজীবনে শিল্পী তোফাজ্জল হোসেন খান ১৯৮৪ সালে যোগদান করে ইসলামী ব্যাংকে। সর্বশেষ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। গত ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি অবসর নেন।
ইসলামী সঙ্গীতের এই গুণী শিল্পীর সাথে (৩০ মার্চ-১৫) তার বাসায় সঙ্গীতাঙ্গনের নানা বিষয়ানুষঙ্গ নিয়ে আড্ডা হয় সসাসের সঙ্গীত পরিচালক Miradul Munim , আবৃত্তি উপস্থাপনা সম্পাদক আজহারুল ইসলাম শো’আইব ও সাহিত্য সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদের । আড্ডার চুম্বক অংশ তুলে ধরেছেন- শিল্পী মিরাদুল মুনীম।
* আপনার সঙ্গীতাঙ্গনে আসাটা কিভাবে?
► আমার আব্বা ছিলেন স্কুল শিক্ষক । পেশায় শিক্ষক হলেও সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি তার পরম ভালোবাসা ছিল। লালন করতেন সংস্কৃতির। আমাদের বাড়িতে তখন গ্রামোফোন ছিলো। এই গ্রামোফোনে কলের গান শোনার জন্য দূর দূরান্ত থেকে আমাদের বাড়িতে মানুষ ভিড় জমাতো। সেখান থেকেই গানের সাথে পরিচয়। আর স্কুলে পড়ার সময় একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার পর সবাই আমার গলার প্রশংসা করে। সেই থেকে গান গাওয়া শুরু। আমার আব্বার গানের দিকটা পেয়েছিলাম আমি আর খেলাধুলার দিকটা পেয়েছিল আমার ছোট ভাই। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে প্রথম এস.এস.সি. পরীক্ষা শুরু হয়। সেবার আমি পাশ করে ভর্তি হই ঢাকার কবি নজরুল কলেজে। সাথে সাথে নিউমার্কেট এলাকায় একটা গানের একাডেমিতে গান শিখতে থাকি। সেখানে গান গাইতেন শিল্পী মাহমুদুন্নবী সহ অন্যান্য শিল্পীরাও। তারপর ডিগ্রি পড়া অবস্থায় পরিচয় হয় মল্লিক ভাইয়ের সাথে সেই থেকে ইসলামী গান গাওয়া শুরু। মল্লিক ভাইয়ের নেতৃত্বে ১৯৭৮ সালে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই প্রতিষ্ঠা থেকে সাইমুমের সাথে গান করার সুযোগ হয়েছিল।
* আপনার বাম পা’টি হারিয়েছেন কিভাবে একটু জানতে চাই ।
► ১৯৮২ সালে ডাকসু’র নির্বাচনে এনাম কাদের পরিষদের পক্ষে র্যালি হয়। সেই র্যালিতে আমরা সাইমুমের শিল্পীরা সামনে গান গাচ্ছিলাম। র্যালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ. রহমান হলের সামনে গেলে ছাত্রলীগ গ্রেনেড চার্জ করে। এতে আমার ও সাইফুল্লাহ ভাইয়ের ১টি করে পা কেটে ফেলতে হয়। মল্লিক ভাইসহ অনেকেই সেখানে আহত হয়।
* গান লেখাও সুরারোপ করা শুরুটা কিভাবে?
► আমি তেমন বেশি লিখিনি, গাইতাম। তবে মল্লিক ভাই লিখতেন আমাদেরও লিখতে বলতেন। প্রথমে ২/১ লাইন লিখতাম মল্লিক ভাইকে দেখাতাম। তা দেখে মল্লিক ভাই খুব উৎসাহ দিতেন। দুই একটা শব্দ যোগ করে দিতেন। মূলত মল্লিক ভাইয়ের অনুপ্রেরণাতেই গান লিখতাম আর আমার গান আমি নিজেই সুর করেছি। ‘আল্লাহ আমার রব’ গানে ১টা লাইনও মল্লিক ভাই লিখেছিলেন লাইনটা হলো ‘তোমার প্রেমের অনল আমি কি দিয়ে নেভাই।’
* আপনাকে আমরা চিনি তাফাজ্জল ভাই নামে আবার মূূল নাম তোফাজ্জল হোসেন খান ব্যাপারটা!
► তাফাজ্জল নামে ডাকতেন মল্লিক ভাই। আরবী শুদ্ধ উচ্চারণে নাকি তাফাজ্জল হয় তাই তিনি ডাকতেন। এ কারণে সাংস্কৃতিক অঙ্গণে আমাকে সবাই তাফাজ্জল নামেই চেনে। মূলত সার্টিফিকেট নাম তোফাজ্জল হোসেন খান।
* আপনার জনপ্রিয় গান ‘আল্লাহ আমার রব’-গানটা কবে লেখা?
► আল্লাহ আমার রব গানটার একটা ছোট্ট পটভূমি আছে। ১৯৯৩ থেকে ৯৭ সালের মধ্যে সাল হবে। আমি তখন ইসলামী ব্যাংক গাজীপুর শাখার ম্যানেজার তখন গাজীপুর ছায়াবীথি নামে একটা আবাসিক এলাকা আছে সেই ছায়াবীথি আবাসিক সোসাইটির সম্ভবত সভাপতি কি সেক্রেটারী নাম রমজান আলী সাহেব। উনি তাবলীগের মুরব্বি হিসেবে এলাকায় পরিচিত। আমার ব্যাংকের গ্রাহক হওয়ায় মাঝে মাঝে আসতেন, আড্ডা দিতে। একদিন তিনি এসে বললেন ম্যানেজার সাহেব, আমাদের মুরুব্বির মুখে একটা কথা শুনে আমার মনটা ভরে গেছে। তাহলো আল্লাহ আমার রব এই রবই আমার সব। তখন আমি বললাম, আসলে কথাটা সেরা একটা কথা । সেই থেকে গানটা লেখা…….
এই গান নিয়ে মজার একটা স্মৃতিও আছে। মল্লিক ভাই একদিন বলছেন, তাফাজ্জল ভাই আপনাকে একটা টেকনিক্যাল মাইর দিছি। আমি বললাম সেটা কেমন? মল্লিক ভাই বললেন আপনার এই গানের প্যারোডি করে ‘আল কোরানের পথ এই পথই আসল পথ’ গানটি লিখেছি। তখন আমি বললাম তা তো ভালই হলো , টেকনিক্যাল মাইর কেমনে? মল্লিক ভাই বললেন, লোকজন মনে করবে মল্লিক ভাইয়ের গান তাফাজ্জল ভাই প্যারোডি করেছে। কেউ মনে করবে না তাফাজ্জল ভাইয়ের গান মল্লিক ভাই প্যারোডি করেছে হা… হা… হা…..
* সাংস্কৃৃতিক অঙ্গন নিয়ে আপনার কোন মজার বা তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে কিনা?
► হ্যাঁ, আছে তো অনেক, প্রথমে কষ্টের একটা বলি-
এটা ছিল সাইমুম প্রতিষ্ঠার পর ঢাকার বাইরে আমাদের প্রথম প্রোগ্রাম। স্থানটা হলো ঢাকার অদূরে মুড়াপাড়া (নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ)। এটা ডেমরা থেকে নৌকায় করে নদী পার হয়ে যেতে হয়। আমাদের দায়িত্বশীল ছিল মিয়া মুহাম্মদ আইয়ুব ভাই (সাবেক সচিব)। আর সাথে ছিল মল্লিক ভাই, আব্দুল হালিম ভাই, নুরুজ্জামান ফারুকী (বিটিভি’র ‘জীবনের আলো’ নামক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও বেতারের শিল্পী) লোকমান ভাই আর আমি। সেখানে প্রথম হামদ গাইলেন ফারুকী ভাই আর নাত গাইলাম আমি। প্রথমদিকের গান দুটো আল্লাহ ও রাসূলের নামে হওয়ায় ওরা কিছু বলেনি। কিন্তু পরে খালি গলায় কোরাস গান ধরলে সবাই চেচামেচি শুরু করে দেয় । হারমোনিয়াম, তবলা, মেয়ে শিল্পী এসব কই ? ওখানকার দর্শকরা অধিকাংশ ছিল শ্রমিক লেবেলের। তারা । আর আমরাও তখন নতুন হওয়ায় ভালো কোরাস গান তেমন তৈরি করা হয়ে ওঠেনি। পরে কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করে স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে মিউজিকে গান চালায়। আমাদের সবার মন মরা , ফেরার পথে নৌকায় বসে মল্লিক ভাই কান্না করতে লাগলেন। অবশেষে মিয়া মোহাম্মদ আইয়ুব ভাই মল্লিক ভাইকে শান্তনা দিলেন। বললেন, এটা তো আমাদের সবেমাত্র শুরু, এরকম পরীক্ষা দিতে হতেই পারে।
এরপর প্রোগ্রাম করেছি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গুলিস্তানে (বর্তমান ওসমানী স্মৃতি উদ্যানে)। সীরাতুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানে সাইমুমের সাথে ছিল খুলনার টাইফুন, চট্টগ্রামের পাঞ্জেরী, বরিশালের হেরাররশ্মি (সম্ভবত) । সেখানে দর্শক ছিল প্রায় ২০/২৫ হাজার। আমাদের পরিবেশনা দেখে দর্শক ওয়ান মোর ওয়ান মোর বলে চিৎকার করতে থাকে। দর্শকের অনুরোধে টানা ৩ ঘন্টা প্রোগ্রাম চালাতে হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি আবুল ফুয়াদ মুহাম্মদ ইয়াহিয়া সাহেব আমাদের স্টেজে ডাকেন এবং আবেগাপ্লিত হয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর নজরুলের গান আর আব্বাস উদ্দিনের কণ্ঠ বাঙালী মুসলমানের ইসলামের প্রতি যে জনমত তৈরি করতে সমর্থ হয়েছিল, আজ সাইমুমের এই অনুষ্ঠান যেন মুসলমানের সেই মনের শেকড়েই নাড়া দিল।’
আমরা অনুষ্ঠান শেষে সবাই বসলাম। তখন মল্লিক ভাইকে সেই মুড়াপাড়ার অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পর তিনি আরো ইমোশনাল হয়ে পড়লেন। আসলে আল্লাহর পথে কাজ করলে প্রতিবন্ধকতা যেমন আছে তেমনি ফলও আল্লাহ দান করেন।
* আচ্ছা, কবি মতিউর রহমান মল্লিক ও আপনাদের সময়ের ইসলামী গানের গীতিকার ও সুরকার কার কারা?
► মল্লিক ভাই ছাড়াও চৌধুরী গেলাম মাওলা, চৌধুরী আব্দুল হালিম, সিরাজুল ইসলাম, ডা. মোর্শেদ আলী খন্দকার রাশিদুল হাসান ভাইসহ আরো অনেকে গান লিখতেন, আমিও কিছু লেখার চেষ্টা করতাম। পরবর্তীতে এসে আসাদ ভাই, কাশেম ভাই ও লিখেছেন ।
* আপনার লেখা গান গুলোর মধ্যে কোন কোন গান কখন লেখা একটু বলতে পারবেন ?
► আমি আসলে অগোছালো একটা মানুষ। সবকিছু গুছিয়ে রাখা, ডায়েরীবদ্ধ করে রাখা এটা সম্ভব হয়নি। তবে, আল্লাহু আমার রব, তুমি রহমান তুমি মেহেরবান,
হে রাসূল বুঝি না আমি, শাহজালালের পূণ্যভূমি, জেনে বুঝে গাইলো যারা নূর নবীজীর গান, এগুলোর কথা মনে আছে । আর অতো কিছু মনে নেই। আমার গান বেশি গেয়েছে সাইফুল্লাহ মানসুর ভাই, আর শিল্পী মশিউর ও ঢাকায় আসার পর কিছু গান গেয়েছে, ওরা ভালো করে বলতে পারবে….
* বর্তমানে মিডিয়া নিয়ে আমাদের করণীয় কী বলে আপনি মনে করেন ?
► এটা একটা কঠিন জায়গা। সঙ্গীত ও নাটক সংস্কৃতির মৌলিক মাধ্যম। জাকির নায়েকের পিস টিভি যেমন নতুন একটি ধারা তৈরি করেছে তেমনি আমাদের নতুন নতুন আইডিয়ার টিভি চ্যানেল, নতুন নতুন আইডিয়াতে অনুষ্ঠান তৈরি করতে হবে। সেই সাথে মানসম্পন্ন গান নাটক তৈরির পরিকল্পনা নিতে হবে। আর একটা কথা মনে রাখতে হবে দক্ষ ও যোগ্য লোকবলের বিকল্প কিছু নেই। আমাদের ভালো ভালো নাট্যকার ও শিল্পী, সংস্কৃতি নিয়ে চিন্তা করারমত লোক তৈরি করতে হবে। থিয়েটার গড়তে হবে….
* বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে কিছু বলবেন?
► অধিকাংশ আলেম বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে নেতিবাচক মত দিয়েছেন। আবার কোনো কোনো আলেম হালকা মৃদু বাদ্যযন্ত্রকে সাপোর্ট করেছেন মুসলিম দুনিয়ার অনেক দেশ এখন হালকা মিউজিক করে সঙ্গীত পরিবেশন করছে।
মূলত মিউজিক হলো গানের রিদমকে ঠিক রাখার জন্য দফ বা অন্য কোন যন্ত্রের তাল। সেটা শালীনতার মধ্যে থেকে আমাদের ভাবতে হবে। বাদ্যযন্ত্রের সাথে কাজ করতে গিয়ে আমাদের অনেকের নৈতিক অধঃপতন ঘটছে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
* চাকুরি জীবন থেকে অবসর, এখন কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন ?
► বাকি জীবনটা লেখালেখি আর সঙ্গীত নিয়ে কাজ করতে চাই বেশি কিছু তো করতে পারিনি। আল্লাহর কাছে এটাই চাই, আল্লাহ যদি একটা গানও কবুল করে তাহলেই স্বার্থক।
* আমরা যারা তরুণ প্রজন্ম , তাদের উদ্দেশ্যে আপনার পরামর্শ কী?
► তোমরা যারা এই অঙ্গনে কাজ করছো তাদেরকে বেশি
বেশি করে আল্লাহর কাছে ধরনা দিতে হবে যোগ্যতা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। সংস্কৃতি কর্মীদের কাছে আল্লাহ কী চান? আল্লাহ চান যেন তার মেধা সাংস্কৃতিক কাজেই ব্যয় করে। আর মল্লিক ভাইয়ের মতো নিঃস্বার্থ মানুষ হওয়ার জন্য বলবো। তিনি ছিলেন নিঃস্বার্থ, নিরাহংকার একজন মানুষ। তাই তো তার সৃষ্টি এতা কালজয়ী হয়েছে, অনবদ্য হয়েছে। সর্বোপরি বলব মল্লিক ভাইয়ের মতো হও। আল্লাহ ও রাসুলের সংস্কৃতিকে নিয়েই কাজ করো ।
তার লেখা ও সুর করা গানগুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো-
* আল্লাহ আমার রব, এই রবই আমার সব
* তুমি রহমান তুমি মেহেরবান
* আল্লাহু আল্লাহু কি যে মধুর নাম
* সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
* বলো তো কার ইশারায় (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে)
* তুমি রাহমাতে আলম জানে তা সারা দুনিয়া
* শাহজালালের পূণ্যভূমি শাহ মাখদুমের বাংলাদেশ
* হে রাসূল বুঝিনা আমি রেখেছো বেঁধে মোরে
* আকাশে মেঘের দেশে, বাঁকা চাঁদ মুচকি হাসে(রমজানের গান)
* যে ফুল যুগ যুগান্তরে খুশবু ছড়ায়
* আমাদের এক করে দাও নেক করে দাও
* শোন যার উছিলায় আমরা সবাই আজকে মুসলমান
* এই যে সবুজ বন বনানী নদীর কলতান
* এসো না আল্লাহর নামে গান গাই
* আল্লাহু আকবার বলরে মুমিন, তারই আকাশ তারই জমিন
* যে দিল সাধের দুনিয়া , তারে আছো যে ভুলিয়া
* মাগো আমার অনেক কিছু জানা হলো না( শিশুদের)
* এসো আল্লাহকে ভালবাসি দিয়ে মনোপ্রাণ
* জেনে বুঝে গাইলো যারা নূর নবীজীর গান
* বাংলার ঘরে নগরে বন্দরে সীমাহীন সীমানায়
* যেদিকে তাকাই শুধু
* বাড়ি গাড়ি টাকা কড়ি অহংকার আর বাহাদুরি
* আজ এখানে কাল কি হবে তা জানি না শুধু
* ইসলামী ব্যাংক আমার ব্যাংক
* কি নিয়ে দাঁড়াবো আমি ওগো প্রভূ দয়াময়
* আজ আনন্দ প্রতি প্রাণে প্রাণে(ঈদের গান)
* রমজানের ঐ রোজার শেষে ওই শাওয়ালের চাঁদ
* স্বাধীন স্বার্বভৌম আমাদের সোনার বাংলাদেশ
* অশ্রুসজল নয়ন আমার
* তোমার দয়ার মূল্য দেব সাধ্য কি আমার
* বলতে শুনি নাম মুখে মুখে
* তুমি আসলে যখন
* বিষ্ময় ভরা দুটি আঁখি অবাক চোখে চেয়ে থাকি
* আল্লাহ যখন কাউকে ধরেন, তার ধরা হয় ভয়ংকর
* তোমার মহান নামে খুঁজি আমি শান্তনা