করোনার ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র আওতাভূক্ত ৫৪ কি. মি. সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র অভিযান অব্যাহত আছে। গত এক মাসে সীমান্তের এই অংশে বিজিবি’র অভিযানে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৭৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ৬৯ জন বাংলাদেশী নাগরিক। তারা অবৈধভাবে ভারতে যেয়ে ফিরে আসার সময় আটক হয়। এছাড়া ২ জন রোহিঙ্গা, ২ জন ভারতীয় নাগরিক ও ৩ জনকে পাচারকারী হিসেবে আটক করা হয়।
এদিকে আটক ব্যক্তিদের সীমান্ত এলাকায় স্থাপিত কোয়ারেন্টাইন শেষে ৩৪ জনকে ১৭টি মামলায় পুলিশে সোপার্দ্দ করা হয়েছে এবং আরও ৩৭ জন বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। অপরদিকে আটককৃত ২ জন ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া মানব পাচারকারী হিসেবে আটক তিনজনসহ আরও ১৫ জনকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিজিবি সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের আওতাভূক্ত সীমান্ত এলাকায় এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলার ২৭১ কি. মি. সীমান্তের মধ্যে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি কলারোয়ার চান্দুড়িয়া থেকে সাতক্ষীরা সদরের পদ্মশাখরা পর্যন্ত ৩৪ কি. মি. স্থল ও ২০ কি. মি. নদী সীমান্তে দায়িত্ব পালন করে। সীমান্তের অপর অংশে রয়েছে শ্যামনগরের নীলডুমুরে অবস্থিত ১৭ বিজিবি এবং রিভারাইন বিজিবি। তবে করোনাকালে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ যাতায়াত বন্ধে বিজিবি’র ঐ দুটি ব্যাটালিয়নের কর্মকান্ড সম্পর্কে কোন কিছু জানা যায়নি।