সব্যসাচী বিশ্বাস ( অভয়নগর) যশোর:
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা পরিস্থিতি। লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। ঊর্ধ্বগামী উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর তালিকা। এমনই এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলছে অভয়নগরের বিভিন্ন ইউনিয়নের হাঁটবাজার এবং নওয়াপাড়া শহরের প্রধান মাছ, মাংস ও কাঁচাবাজার। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে নেই সামাজিক দূরত্ব।
করোনা সংক্রমণ বিস্তার ও ডেল্টা ভেরিয়েন্ট রোধে সরকার কর্তৃক এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ চললেও ক্রেতা-বিক্রেতারা প্রতিনিয়ত লংঘন করছেন স্বাস্থ্যবিধি। সরেজমিনে নওয়াপাড়ার প্রধান মাছ ও কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের সাথে যুক্ত বাজারের প্রধান রাস্তার দুই পাশের ফুটপাত দখল করে নিত্যপণ্য ব্যবসায়ীরা বিকিকিনি করছেন। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা মাস্ক ব্যবহার করলেও তাদের মধ্যে ছিল না কোন সামাজিক দূরত্ব। ত্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছিল এক প্রকার সামাজিক দূরত্ব ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা। কেনাবেচায় একজনকে টপকে অপরজন ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে, অভয়নগর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী বাজারে প্রবেশ করার পর দৃশ্যপটে কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। সতর্ক হয়ে ওঠেন বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। ভৈরব নদী সংলগ্ন মাছ ও মাংসের বাজারের অবস্থা ছিল আরো ভয়াবহ। চলাচলের রাস্তা দখল করে গাদাগাদি করে অবাধে চলছিল কেনাবেচা। প্রশাসন আরো কঠোর না হলে অল্প দিনের মধ্যে নওয়াপাড়া শহর করোনার শহরে পরিণত হবে। মাছ, মাংস ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা, তারা বলছেন পাশাপাশি মাছ, মাংস ও কাঁচাবাজার হওয়ায় এমনটি হচ্ছে। তিনটি বাজারকে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে সরাতে পারলে জনসমাগম অনেকাংশে কমে যেত। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকল্পে সামাজিক দূরত্ব লংঘন হত না।
নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র ও অভয়নগর উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুশান্ত কুমার দাস শান্ত জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নওয়াপাড়া পৌর কর্তৃপক্ষ সব ধরণের সচেতনতামূলক কাজ করে চলেছে। রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক টিম। করোনা সংক্রমণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে প্রচার মাইকের মাধ্যমে সচতেনতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সচেতনতাই পারে এই মহামারী থেকে সকলকে বাঁচাতে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান জানান, যশোর জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত ও নওয়াপাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত আছে। সাধারণের সচেতনতাই পারে সংক্রমণ বন্ধ করতে।