স্টাফ রিপোর্টার, (অভয়নগর) যশোর :
সামান্য বৃষ্টিতে পানি সপ্তাহের পর সপ্তাহ পাকারাস্তার উপর জমে থাকে। একটু বেশী বৃষ্টি হলেই শুধু রাস্তা নয় জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে হাজারো মানুষ। বাড়ি থেকে বের হতে গেলে হাটু পর্যন্ত কাপড় ভাজ করে জলাবদ্ধতা পারিয়ে যেতে হয় কর্মস্থলে। অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার পাকা সড়কগুলো এমন চিত্র দেখা গেছে।
অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, নিয়ম-নীতি অমান্য করে বাড়িঘর নির্মাণ ও ডোবা-পুকুর ভরাটের কারনে জলাবদ্ধতার এ সমস্য দেখা দিয়েছে। দেশের প্রথম শ্রেণীর নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে এ চিত্র ফুঁটে উঠেছে।
পৌরসভার ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের হাজার-হাজার মানুষ জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। যা দেখার কেউ নেই বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে পাকারাস্তা রয়েছে পানির নিচে। শতশত বাড়িঘরের উঠানে জমে রয়েছে বৃষ্টির পানি।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসি জানায় বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে প্রায় ২ থেকে ৩ মাস জলাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, অক্সফোর্ড ইনস্টিটিউট থেকে নওয়াপাড়া মডেল কলেজ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকারাস্তা ও আশপাশ এলাকার হাজারো পরিবারের মানুষের বাড়ির চারিপাশে পানি জমে আছে। ৫নং ওয়ার্ডেও হাসপাতাল-বুইকরা লিংকরোড রাস্তার মাঝখানে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা সহ ধোপা পাড়ার প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়ি জলাবদ্ধতায় রয়েছে। এছাড়া ৬নং ওয়ার্ডে ওয়াপদা রাস্তার উত্তরপাশে ৩০টি পরিবার জলাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
এব্যাপারে মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে আমার কলেজসহ ৪নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়। আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংএ এ জলাবদ্ধতার বিষয়ে বারবার উত্থাপন করেও আমি এর কোন ফলাফল পায় নি। মেয়রকে জানালে তিনি বলেন, ড্রেনের ব্যবস্থার মাধ্যমে এর সমাধান করতে হবে।
এ ব্যাপারে ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউদ্দিন পলাশের ব্যবহৃত ০১৭১১২৪০০২৪ নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। এদিকে ৫ নং ওয়ার্ডেও জলবদ্ধতার বিষয়ে কাউন্সিল প্রার্থী তহমিনা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, আমরা কি নওয়াপাড়া পৌরসভার নাগরিক না? আমাদের দীর্ঘ দিনের সমস্যা এ জলাবদ্ধতার কি কোন সমাধান হবেনা?
এ ব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান মোল্যা বলেন, আমি ওই এলাকার মানুষদের নিয়ে পানি সরানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু কেউ কারো জায়গা দিয়ে পানি সরাতে দিতে চায়না। যে কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডবাসি পৌর মেয়রের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে পৌর মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত বলেন, ড্রেন পাশ করার অপেক্ষায় আছি। ড্রেন পাশ হলে এর সমাধান হবে।