সব্যসাচী বিশ্বাস (অভয়নগর) যশোর :
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ৮নং সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী প্রভাবশালী মহল অবৈধ ভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছিলো দীর্ঘ দিন ধরে।১৬/০৮/২০২১ সোমবার সকাল ১০ টায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রসাসন ও এলাকা বাসীর সহযোগিতায় অবৈধ কাঠ কয়লা তৈরীর এ সব চুল্লি ভেঙে ফেলার অভিযান শুরু হয়।
জানাগেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা ও অভয়নগর থানার সোনাতলা ও আমতলা পুলিশ ফাড়ির সহযোগিতায় এলাকার শতাধিক সাধারন জনগন এ অভিযানে অংশগ্রহন করে। এতে গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছে প্রসাশনকে।
উল্লেখ্য যে, এর পূর্বেও কয়েকবার পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন চুল্লিগুলি ভেঙ্গে দেয়ার পরও আবার নতুন করে কাঠ পুড়ানোর কাজ শুরু করেছিলো এই অবৈধ কয়লা সিন্ডকেটের সদস্যরা। যার ফলে একদিকে বন উজাড় হচ্ছিলো অপরদিকে দূষিত হচ্ছিলো পরিবেশ।
অভিযোগ ছিলো, প্রতিনিয়ত ফলজ ও বনজ গাছ কেটে সাবাড় করছে এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি। বিশেষ করে, উপজেলার ৮ নং সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ধুলগ্রাম ও সিদ্দিপাশার সোনাতলা এলাকার কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এসব অপকর্মে জড়িত।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় , এই এলাকায় প্রায় ১৫০টির অধিক চুল্লিতে অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কাজ চলতো। প্রতিটি চুল্লিতে গড়ে ১৫দিনে প্রায় ২৫০মণ কাঠ কয়লা তৈরির কাজে পুড়ছে। বেশ কিছু চুল্লি ভৈরব নদের তীরবর্তী এবং দূর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের অভিযানের বাইরে থেকে যাচ্ছিলো। তবে চুল্লিগুলোতে ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কয়েকদফা অভিযান চালিয়ে ভেঙ্গে ফেললেও পূনরায় আবার ওই চক্রটি সক্রিয় হয়ে কাঠ পুড়িয়ে যাচ্ছিলো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, পরিবেশ দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অসাধু চক্রের ভয়ে মুখ খুলতে পারতো না তারা। তাদের মতে, প্রশাসন যদি জোরালো কোনো ভূমিকা রাখে তাহলে হয়তো এই গাছ কেটে কয়লা তৈরি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। অবশেষে প্রসাননের এ অভিযানে চুলা ভেঙ্গে দেওয়ায় প্রমান হলো যে, প্রসাশনের ঊর্ধ্বে কেউ নয় অভিমত এলাকাবাসীর,তবে এলাকাবাসি প্রসাসনের কাছে জোরালো দাবি করেছেন পুনরায় যেনো এই সিন্ডিকেট আবার ও কোন ভাবে চুল্লি চালু করতে না পারে।