আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ছয় শিশুসহ ৯ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সিএএননের খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন সদস্য রয়েছেন।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, রাজধানী কাবুলের একটি আবাসিক এলাকায় আইএস জঙ্গি সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলা চালায়। এই হামলায় ছয় শিশুসহ ৯ জন নিহত হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ১ জন নিহতের খবর প্রকাশ করা হয়। কাবুলের প্রতিবেশী ঘনবসতিপূর্ণ ‘খাজে বুঘরা’ এলাকায় এই হামলা চালানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের গেটে আইএস খোরাসান শাখা ভয়াবহ এক আত্মঘাতী হামলা চালায়। হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনাসহ ১৭০ জন নিহত হয়। যুক্তরাষ্ট্র হামলাকারীদের খুঁজে বের করে হত্যার ঘোষণা দেয়।
সর্বশেষ বিমান হামলা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গাড়িতে করে দুইজন আত্মঘাতী আইএস জঙ্গি যাচ্ছিল। সেখানে হামলা করা হয়েছে। ওই গাড়িতে বিস্ফোরক ছিল বলেও মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
তবে এলাকা পরিদর্শন করে আসা স্থানীয় একজন সাংবাদিক বলেন, গাড়িতে কী ছিল সেটা বলতে পারব না। তবে হামলার পর গাড়িটি কঙ্কালসার হয়ে গেছে।
নিহত এক শিশুর বড়ভাই বলেন, আমরা সাধারণ পরিবার, আইএস জঙ্গি নই। এটা আমাদের পারিবারিক বাড়ি। এখানে আমার ছোট ভাইরা পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত।
যেখানে হামলা করা হয়েছে তার একজন প্রতিবেশী বলেন, আমরা সবাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলাম। আগুন নেভাতে গিয়ে দেখি ৫-৬ টি লাশ পড়ে পড়ে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় শিশু নিহতের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। চার্লস লিস্টার নামে একজন লেখক ও গবেষক বলেন, কোন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র হামলা করল তা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন করার সময়ে এসেছে।
২০ বছর যুদ্ধ শেষে আগামী মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সকল সেনা প্রত্যাহার করছে। ইতোমধ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা, সমঝোতা করলেও দেশটিতে নতুন সমস্যা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে আইএস