স্টাফ রিপোটারঃ
যশোরের চৌগাছায় চাচাতো ভাইদের হাতে ইমামুল হোসেন (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের দুর্গাবরকাঠি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত ইমামুল হোসেন ঐ গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে। নিহতের ৭ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছেন চৌগাছা থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তিন মাস আগের একটি পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩ চাচাতো ভাই ও তাদের ছেলে ইমামুল হোসেনের ওপর হামলা করে। এ সময় ইমামুল (৩২), তার চাচা মোহাম্মদ আলীর ছেলে কামাল হোসেন (৩৬), চাচাতো ভাই রবিউল ইসলামের ছেলে শান্ত রহমান (২১) আহত হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা সরকারি মডেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসক তাদের তিন জনকেই যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করেন। যশোর হাসপাতালে নেয়ার সময় ইমামুল হোসেনের মৃত্যু হয়। আহত কামাল হোসেন (৩৬) ও শান্ত রহমাকে (২১) যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এ ঘটনায় পুলিশ হাসপাতালে কামাল হোসেন ও শান্ত রহমানকে আটক দেখায়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে শান্ত রহমানের পিতা রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়। নিহতের পিতা মতিয়ার রহমান জানান, শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে ইমামুল পাট ধুয়ে সকালের খাবার খেতে বাড়ীতে আসে। এ সময় আমার বে,মাতা ভাই মোহাম্মদ আলীর তিন ছেলে রবিউল, কুরবান ও কামাল এবং রবিউলের ছেলে শান্ত লাঠি-সুটা নিয়ে এসে তার উপর হামলা চালায়। আমি তাদেরকে ঠেকাতে গেলে তারা আমাকেও মারপিট করে আহত করে।
এ সময় শান্ত দরজার হাক দিয়ে ইনামুলের ঘাড়ে স্বজরে বাড়ি দেয়। এতে সে মাটিতে পড়ে যায়। সে মাটিতে পড়ে গেলে তারা সকলেই তাকে বেধড়ক ভাবে মারপিট করে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা সরকারি মডেল হাসপাতালে ভর্তি করি। তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করেন। যশোর নেয়ার পথে গাড়িতেই ইমামুল মারা যায়। ঘটনাস্থলে থাকা চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, তুচ্ছ ঘটনায় ভাই-ভাতিজারা মিলে ইমামুলের ওপর হামলা করে। এতে ইমামুলসহ তিনজন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে নিলে তাদের যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। যশোর নেবার পথে রাস্তায় ইমামুল মারা যায়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় কামাল ও শান্ত যশোর হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে শান্তর পিতা রবিউল ইসলামকেও আটক করা হয়েছে। ইমামুলের মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে সুরাহতল করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট দেওয়া হবে।