শ্রাবণ মেঘের দিনে
বৃষ্টির জলে কাদামাটি ধুয়ে
ফিরে যদি আসো চন্দন মাখা পায়ে
ভাববো তুমি এসেছো চরণ ধুয়ে
জল ভৈরবের ঢেউগুলো সাঁতরায়ে।
তুমি যেনো আজ
বনাঞ্চলের ক্লান্ত প্রজাপতি
ভীষণ জ্বরে ধুকছে সোনামুখ
আঁচল সরাও রাগ-ঢাক আজ থাক
দেখো সত্যেন বাবুর ছন্দেরা উৎসুক।
বৃষ্টি ভিজে কাঁপা স্বরে
আসতে চুপি নাঙা পায়ে
শাপলা তুলে ডিঙি বেঁয়ে ভর-দুপুর বেলায়
আজও এসো তেমনি করে বুকের নীড়ে
হোক না সেটা নেহাত অবলীলায়।
ঘুমাবেগে উতলা হৃদে
নিত্য যতো জমানো পাপমালা
যাবে ধুয়ে অনুতাপ আর শ্রাবণ নয়ন জলে
নেবো তুলে অশ্রুমালা অঞ্জলিটা ভরে
ছিটিয়ে দেবো কয়েক ফোঁটা বিষবৃক্ষের মূলে।