পাঞ্জশিরের রাজধানীতে প্রবেশ করেছে তালেবান। তালেবানের মুখপাত্র বেলাল কারিমী এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন , তালেবান যোদ্ধারা পাঞ্জশিরের রাজধানী বাজারাক সংলগ্ন রুখাহ জেলা কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে।
এই তালেবান নেতা আরও বলেন, ব্যাপক সংখ্যক বিদ্রোহী যোদ্ধা হতাহত হয়েছে। অনেক সংখ্যক কারাবন্দীকে মুক্ত করা হয়েছে এবং সামরিক যান দখল করা হয়েছে। পাঞ্জশিরের রাজধানী বাজরাকে ব্যাপক যুদ্ধ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাজধানী কাবুল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের প্রদেশ পাঞ্জশিরে তালেবান এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
রোববার তালেবান দাবি করেছে, তাদের যোদ্ধারা ৭টি জেলার মধ্যে ৫টি দখল করে নিয়েছেন। অন্যদিকে বিদ্রোহীরা দাবি করছে, কয়েকশ তালেবান সদস্যকে তারা হত্যা করেছেন এবং তাদের হাতে বন্দী রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লং ওয়ার জার্নালের (সাময়িকী) সম্পাদক বিল রোজিও বলেন, পাঞ্জশিরে তালেবান ও বিদ্রোহীদের সক্ষমতা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। উভয়পক্ষ প্রতিপক্ষকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করার দাবি করছে, যদিও নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য কেউ দিতে পারছে না।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার এবং আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর পতনের পর তালেবান ব্যাপক পরিমাণে অস্ত্র পেয়েছে। গত ২০ বছর ধরে যুদ্ধের মাধ্যমে তালেবান যোদ্ধারা স্পাতকঠিন রূপ ধারণ করেছে এবং ভুল করার কোনো উদাহরণ তাদের নেই।
মার্কিন যুদ্ধবিষয়ক জার্নালের সম্পাদক বিল রোজারিও এসব কথা বলার অর্থ- পাঞ্জশিরে যুদ্ধে অবশ্যই তালেবান এগিয়ে থাকবে।
তবে পাঞ্জশিরের বাইরে অবস্থান করা জাতীয় প্রতিরক্ষা ফ্রন্টের (এনআরএফ) মুখপাত্র আলী মাইসাম নাজরি বলছেন, প্রতিরোধ যোদ্ধারা (এনআরএফ) তালেবানের কাছে হার মানবে না।