আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নামে ইমেইল, ট্রু-কলার এবং হোয়াটসঅ্যাপ খুলে বিত্তশালী ও বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে ফোন দিত প্রতারক। কারও কাছে চাইতেন টাকা, কাউকে চাকরির সুপারিশ।
আইজিপির নামে প্রতারণা করা ওই ব্যক্তির নাম মো. আরিফ মাইনুদ্দিন (৪৩)। তিনি ম্যারিজ ডটকম নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন।
সোমবার রাজধানীর ঝিগাতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
তিনি বলেন, আসামি একটি মোবাইল নম্বরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আইজিপির ছবি ও পদবি ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন দফতর, বাণিজ্যিক ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফোন করে নিজেকে আইজিপি হিসেবে পরিচয় দিতেন। এই পরিচয় দিয়ে অবৈধ সুবিধা নিয়ে আসছিলেন। এসব অপকর্মে তিনি ০১৯২৬৪৫০৬০৯ নম্বরের একটি সিম কার্ড ব্যবহার করতেন।
আরিফ মাইনুদ্দিন গত ২৬ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকের হেড অফিসের হটলাইন নম্বরে এবং অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেডে ফোন দেন। এর তিনদিন পর মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ফোন দিয়ে ড. বেনজীর আহমেদের নাম বলে অনৈতিক ও আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কথা বলে ভয়ভীতি দেখান।
অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, আসামি তার কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিমটি কিনে প্রতারণা করতেন। সম্প্রতি আইজিপি অফিস থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। সে বিভিন্ন ব্যাংকগুলোতে ফোন দিয়ে চাকরি চায়, আবার টাকাও চায়। তবে এ পর্যন্ত কারও কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, আটক আরিফ বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্সে মাস্টার্স করেছেন। তিনি ঢাকা ব্যাংকে চাকরি করতেন। সেখান থেকে চাকরিচ্যুত হন। এরপরই এই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। আসামির বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরিফ মাইনুদ্দিনের বাবা নুর মোহাম্মদ বিএসসি, মা-রাশেদা বেগম। তার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া থানার কাহারিয়াঘোনা গ্রামে। থাকতেন রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলা রোডে। হক ম্যানশনের ৪র্থ তলায় থাকতেন। তার মূল ব্যবসা বিয়ের ঘটকালি।