প্রতাপনগর (আশাশুনি) থেকে \ আম্ফান ইয়ার্সে ভাঙ্গনে নদীগর্ভে ভিটামাটি বসতবাড়ি! বসবাসরত মাছ ধরার নৌকায় প্রসূতি নারীর কোলজুড়ে ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা ৫০ মিনিটে বন্যতলা বেড়িবাঁধের বাহিরে থাকা খোলপেটু নদীর উপরে ভাসমান বসবাসরত নৌকায় প্রসূতি নারীর সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটে। বন্যতলা গ্রামের ইউসুফ আলী সানার পুত্র বধু মিনারা খাতুনের গর্ভের সন্তান জন্ম গ্রহণ করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় এক ধরনের হতাশা জনক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সরোজিনী যেয়ে দেখা যায়। সদ্য জন্ম দেয়া নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে দাদী আনন্দে চিত্তে নৌকার ছইয়ের ভেতরে বসে বসে শিশুর সাথ খুনসুটি করছে। পাশে শিশুর মা মিনারা খাতুন বসে আছে। ১৫ দিন পূর্বে ইয়াকুব আলী সানার বসবাসের ঘরটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। শ্বশুর বাড়িও একই গ্রামে হওয়ায় সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেননি। কোথাও ঠাই না পেয়ে জীবিকার অবলম্বন মাছ ধরার নৌকায় সন্তান সম্ভবা স্ত্রীসহ সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন নৌকায়। এরই মধ্যে স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে দুর থেকে গ্রাম ডাঃ আনতে না আনতে ই মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে ইয়াকুব আলীর স্ত্রী মিনারা খাতুন (২৪) নৌকাতেই একটি ফুটফুটে নবজাতক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। নৌকাতেই জন্ম নেওয়া পৃথিবীর মুখ দেখা নবজাতকের নাম রাখা হয় ওমর ফারুক। বাবা ইয়াকুব আলী জানান, মা-ছেলে দু’জনই, সুস্থ আছে। ইয়াকুব আলী আরো বলেন, জীবন জীবিকার উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন নৌকা। আর সেই নৌকাতেই এখন বসবাস করতে হচ্ছে। মাছ ধরতে পারছি না। একারনে পরিবারে খাদ্যাভাব রয়েছে। সন্তান আর তার মাকে যে কোন ঘরে রাখবো, তারও কোন ভালো ব্যবস্থা নেই। খাব কি, আর থাকবো কনে ? স্থানীয় বাসিন্দা অনেক ই জানান, নিহাত আলাহ সহায় ছিলেন বলে নরমল ডেলিভারিতে সন্তানের জন্ম হয়েছে। তা না হলে, দুর্ঘটনা ঘটার প্রবল ঝুঁকি ছিল। বর্তমানে এই পরিবারসহ প্লাবিত এলাকাবাসী সিমাহীন দুঃখ দুর্ভোগ দুর্দশার মধ্যে জীবন যাপন করছে।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …